কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে মাঝখানে বিদ্যুতের খুটি রেখেই চলছিল সড়ক প্রশস্ত করার কাজ। খুঁটি সরানো নিয়ে সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে বরাদ্দ নিয়ে চলছিল রশি টানাটানি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার সংবাদে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। অবশেষে বিদ্যুতের খুঁটি সড়ানোর উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
একরামপুর থেকে সতাল জেলা পরিষদ হয়ে করিমগঞ্জ চামড়াবন্দর পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার সড়কের মাঝখানে ছিল ২৮ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি।
গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে মেসার্স এইচ এম গ্রীণ ইন্টারন্যাশনাল নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করে।ইতিমধ্যে ২৩ টি বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঠিকাদার শাহনেওয়াজ মিঠুন।ঈদের পূর্বেই বাকি ৫ টি খুঁটি সরানোর কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর – অক্টোবরের শুরু হওয়া এই আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণ কাজ ২০২২ এ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হবে বলে জানায় সহজ। কাজ শেষ হলে যানবাহনের জ্বালানি খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি যাতায়াত কারীদের ও সময় বাঁচবে। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। রাস্তার মাঝখানে খুঁটি থাকায় ঠিকমতো রোলার দিয়ে মাটি ভরাট করতে পারছিলেন না শ্রমিকরা। স্থানীয় আবু নাসির বায়তুল বলেন প্রতিনিয়ত আমরা এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সড়কের মাঝখানে খুঁটি থাকা চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। দুর্ঘটনা আশঙ্কা ছিল বেশ এখন খুঁটি ছড়ানোর নিরাপদে চলাফেরা করা ব্যবস্থা হয়েছে। এ সড়ক ব্যবহারকারী অপর একজন ফরহাদ আহমেদ টিটুল বলেন দুর্ভোগ কমাতে কিশোরগঞ্জ – করিমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করনের কাজ চলছে কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটি রেখে সড়কের কাজ করায় চলাচল চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এখন খুঁটি সরানোয় আমাদের চলাচলে সুবিধা হচ্ছে।