১। ভূমিকা : মধ্যবৃত্ত পরিবারে বেড়ে উঠা একজন ব্যক্তি যে তার নিজের চেষ্টায় এবং পরিবারের সহযোগিতায় নিজেকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য সর্বাধিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। নিজ ইচ্ছা থাকায় শত বাধা পেড়িয়ে নিজ লক্ষ্যে অটুট রয়েছে ছেলেটি। নিজ বংশের মধ্যে পরিচয় দিয়ে কোন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার মত কেউ নেই। তাই সে ইচ্ছা পোষণ করলো একদিন তার পরিচয়ে বংশের সবাই পরিচিত হবে। নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে দিনরাত ব্যস্থ সময় পাড় করছে।
২। জন্মস্থান : কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলায় দিগদাইর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সিংধা গ্রামে ১৯৯০ সালে ১ জানুয়ারী মাসে জন্মগ্রহণ করেন। ২ ভাই ও ২ বোন মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ রুবেল জীবিত অবস্থায় এখন ও আছে। অশিক্ষত , অজপাড়া গাঁয়ে জন্ম হওয়ার কারণে নিজ গ্রামে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ১৯৯২ সালে জীবন ধারণ ও শিক্ষার উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকায় পূর্বরাজা বাজার, ফার্মগেট পাড়ি জমায়।
৩। পারিবারিক পরিচিতি: অতি সাধারণ পরিবারে জন্ম হয়েছে মোহাম্মদ রুবেল। পিতা- মো: চাঁনমিয়া ৬৫, মাতা- মোছা: হুসনে আরা খাতুন (আনন্দ ৫৬), দাদা – মিয়া চাঁন ফকির (কুলির বাপ), দাদি- মোছা: রূপজান বিবি, নানা- আইন উদ্দিন ভূঁইয়া,(তালুকদার) নানী- মোছা: রাবেয়া বেগম। নানার বাড়ি বৈরাটিয়া পাড়া, গুজাদিয়া ইউনিয়ন, করিমগঞ্জ উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
৪। শৈশবকাল (১-৬): ১৯৯২ সালে রাজধানী ঢকায় পাড়ি জমালে প্রথমে গ্রীন রোড আম বাগানে অস্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। অপরিচিত জায়গায় অল্প কিছু দিনের মধ্যে ঢাকা শহর নিজের বাড়ি ঘর মনে করতে আরম্ভ করলেন। সকল মানুষের সাথে আকর্ষণীয় ব্যবহারের মাধ্যেমে পরকে আপন বানিয়ে নিলেন। সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে লাগলেন।
৫। বাল্যকাল (৭-১২: বাল্যকালে পড়াশুনার প্রতি অধম্য আগ্রহ প্রকাশ করায় মা তাকে রোটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (পূর্বরাজা বাজার)ভর্তি করে দেন। নিজ গৃহে প্রাইভেট শিক্ষক রেখে দিলে ভালভাবে পড়াশুনা শুরু করেন। মেধাবী ছাত্র হওয়ার কারণে স্কুল থেকে নিয়মিত পুরষ্কার পেতে থাকেন। সর্বদা বিদ্যালয়ে রোল ১-৩ এর মধ্যে থাকে। মেধাবী হওয়ার জন্য এলাকার ভাল ছেলে মেয়েরা বন্ধুত্ব করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মা পড়াশুনা না পাড়ায় পরীক্ষার ফলাফল অন্য শিক্ষিত মানুষকে দেখায়। সবাই বলে আপনার ছেলে ভাল ফলাফল করেছে। তাকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করলে সে একদিন আপনার মুখ উজ্জ্বল করবে। ২০০২ সালে তিনি পঞ্চম শ্রেণী পাস করেন। শেষ হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় জীবন।
৬। কৈশরকাল (১৩-১৮): প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে (মানিক মিয়া এইভনিউ, সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে)মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য ভর্তি হন। পড়াশুনার মাধ্যমে মেধার পরিচয় দিলে সকল শিক্ষকের মনোযোগ আকর্ষণ করে ফেলে সহজেই। গণিত ও ইংরেজি শিক্ষকের কাছে প্রিয় ছাত্রের তালিকা নামটি লিখিয়েছেন। ২০০৮ সালে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করার জন্য আইডিয়াল কমার্স কলেজে ভর্তি হন। কলেজে মেধা তালিকায় সাপ্তাহিক, মাসিক ও সেমিস্টার পরীক্ষার অসামন্য ফলাফল করার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ২০১০ সালে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এলামনি এসোসিয়েশন নামক কমিটিতে বর্তমানে খেলাধুলা সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন আইডিয়াল কমার্স কলেজে।
৭। যৌবনকাল (১৯-৪০):এইচএসসি পাস করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তেজগাঁও কলেজে প্রফেশনাল বিবিএ (ফিন্যান্স) কোর্সে ভর্তি হন। ৮ টি সেমিস্টার ও ৪০টি বিষয়ের উপর কৃতিত্বে সাথে ২০১৪ সালে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। প্রফেশনাল বিবিএ কোর্স সম্পন্ন করার সময় নানা রকম সমস্যা জর্জরিত হতে হয়। যা ধৈর্য ধারা মোকাবেলা করেছে তিনি। পরবর্তীতে প্রফেশনাল এমবিএ (ফিন্যান্স) করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ আইএসটিটি (মিরপুর-১৩) কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে পোষ্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেন। যদি ও অভাব অনটন দরজার জানালা দিয়ে দেখা দিয়েছে তবু ও জীবন যুদ্ধে হার না মানা বাহাদুর জয় করল অভাব ও সকল সমস্যা।
৮। পড়াশুনা: প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার পাশাপাশি অনেক ছোট ছোট ৩ মাস মেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করে জীবন চলার পথে কাজে লাগবে বলে। সরকারি চাকুরীর সময় থাকাকালীন সময় দেশের কর্মের পরিবেশ দেখে নতুন সিদ্ধান্ত নেন। আইডিয়াল “ল’ কলেজে এলএল.বি করার জন্য ভর্তি হন। কৃতিত্বের সহিত এলএল.বি ২ শ্রেণীতে পাস করেন।
৯। ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি:
১০। দক্ষতা: পড়াশুনার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন করার জন্য কম্পিউটারের এমএস অফিস , হার্ডওয়্যার কোর্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স সম্পন্ন করেন। ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য স্পোকেন ইংলিশ শেখার জন্য এফএম মেথড, সাইফুর্স ও মেনটার্স কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন এবং ৩ মাস মেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করেন। ৩ মাস মেয়াদি ইলেকট্রিক হাউজ ওয়্যারিং কোর্স ও সম্পন্ন করেন।
১১। অভিজ্ঞা:
১২। বৈবাহিক অবস্থা: ২০১২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারী তারিখ তানজিনা খানম মুক্তার সাথে বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হন। তানজিনা খানম মুক্তা সরকারী গুরুদয়াল কলেজ থেকে একাউন্টিং বিষয়ে মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি কিশোরগঞ্জ সদরের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।
১৩। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব:
১৪। রাজনৈতিক কর্মকান্ড: পূর্ব রাজাবাজার ইউনিট ছাত্রলীগ, সাবেক কর্মী তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগ, সাবেক কর্মী কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ, সাবেক কর্মী ঢাকা আইন জেলা ছাত্রলীগ, বর্তমান কর্মী কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সহ-সভাপতি কিশোরগঞ্জ জেলা আইন ছাত্র পরিষদ।
১৫। কর্মজীবন: সাবেক: স্টাফ রিপোর্টার “দৈনিক বাংলাদেশ সময়”, প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিউ ফ্রিডম বাজার, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতি লিঃ,প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ অনলাইন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শোলাকিয়া স্বাধীন পায়রা সামাজিক সংগঠন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কুতুবক দরবার শরীফ, প্রতিষ্ঠাতা ইউনিটি এডুকেশন কোচিং সেন্টার ঢাকা, প্রতিষ্ঠাতা রুবেল প্রাইভেট হোম কিশোরগঞ্জ। বর্তমান: শিক্ষানবিশ আইনজীবী কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্ট, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, সংবাদপত্র “দৈনিক বাণিজ্য প্রতিদিন” রুবেল ইলেকট্রনিক্স ও কম্পিউটার্স , সাহেব বাড়ি মোড়, চরশোলাকিয়া কিশোরগঞ্জ,কিশোরগঞ্জ ম্যারেজ মিডিয়া,সাহেব বাড়ি মোড়, চরশোলাকিয়া কিশোরগঞ্জ।
১৬। উপসংহার: