চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে দেখা করলেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
পরে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমি সাত মাস গুম ছিলাম। সে বিষয়ে কীভাবে অভিযোগ দেওয়া যায় তা নিয়ে কথা বলতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছি। এ সময় গুমের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের ইঙ্গিত দেন তিনি।
আয়নাঘরের দিনগুলোর দুঃস্মৃতি সামনে এনে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, গুমের পুরো জিনিসটা কিন্তু পূর্বপরিকল্পিত। একটা অপারেশন ছিল—আমি তো তখন জানতাম না। আমাকে প্রথম গায়েব করা হলো। আমার পরপরই জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর মো. আরমান ও গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হলো।
তিনি বলেন, আমাদের সবার কানেকশন একটাই— আমাদের বাবারা সবাই সিনিয়র রাজনীতিবিদ ছিলেন এবং আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আযমী ভাই সাবেক আর্মি সদস্য এবং আরমান রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এই জিনিসটি নিয়ে আমরা কনফিউশনে ছিলাম— আমাদের তিনজনকে কেন গুম করা হলো। এখন বুঝতে পারছি— তারা চাচ্ছিল যে পরিবারের লিডারদের হত্যা করা হয়েছে; পরবর্তী প্রজন্ম যেন প্রতিবাদ করার সাহস না করে। তারা চাচ্ছিল যে, পরিবারগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হোক। ছাড়া পেয়েছি আল্লাহর অনেক রহমত, মায়ের দোয়া, মানুষজনের দোয়ায়।
হুম্মাম কাদের চৌধুরীর বাবা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ফাঁসি কার্যকর করে।