দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে গতকাল (১২ ডিসেম্বর) মারা যান প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। আজ (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাপিয়া সারোয়ারের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।
এরপর আবারও ধানমন্ডি ২৮ নম্বরের বাসায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে ধানমন্ডি ৬–এ ঈদগাহ মসজিদে নেওয়া হয়। জুমার পর জানাজা শেষে তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন এ শিল্পী।
গতকাল পাপিয়া সারোয়ারের মরদেহ রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়। আজ সকাল নয়টায় তার মরদেহ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ছায়ানট ভবনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর পাপিয়া সারোয়ার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ। তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। এরপর তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। এ শিল্পী ১৯৬৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিষয়ে লেখাপড়া করেছেন পাপিয়া সারোয়ার।
পাপিয়া সারোয়ার রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করলেও আধুনিক গানেও রয়েছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়।