হেমন্তের শেষ মুহূর্তে সারাদেশে শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশের তিন জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এটি দুইদিনের মাথায় দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে কোথাও কোথাও ঘন-কুয়াশা পড়তে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, এবার শীত অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। অতিবৃষ্টির কারণে শীত তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এ শৈত্যপ্রবাহ তিনদিন স্থায়ী হতে পারে। ১৬ ডিসেম্বরের পর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এরপর ১৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা আবার কমতে শুরু করবে। শৈত্যপ্রবাহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পাশাপাশি খুলনা, সিলেট বিভাগে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার যে শীত বেশি। তা এরই মধ্যে দৃশ্যমান। গত বছরের এসময় তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এবার একই সময়ে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমেছে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা বলেন, অন্যান্য বছর ঘন-কুয়াশা দেখা যেত ২০ ডিসেম্বর কিংবা তারও পরে। এবছর আমরা এখনি রাজধানীসহ সারাদেশে কুয়াশা দেখতে পারছি। এখানে বায়ুদূষণের একটা প্রভাব রয়েছে। এবছর এমন হতে পারে ‘ফিলস লাইক’ বেশি হতে পারে। যেমন: তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও অনুভূতি হতে পারে ৮/৯ ডিগ্রির মতো।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে ২০১৮ সালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে। এ বছর জানুয়ারিতে শীত বাড়বে, তবে তাপমাত্রা কততে নামতে পারে সেটি বলা যাচ্ছে না।