৯ রানে ছিল না ২ উইকেট। সেন্ট কিটসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনেও যাচ্ছেতাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের। সেখান থেকে সৌম্য সরকার আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা।
তবে সেট ব্যাটার দুজনই সত্তরের ঘরে এসে আটকা পড়েছেন। ৬ চার আর ৪ ছক্কায় বল সমান ৭৩ রান করে গুদাকেশ মোতির বলে এলবিডব্লিউ হন সৌম্য। মিরাজ ৭৩ বলে ৮ চার আর ২ ছক্কায় ৭৭ করে হন রানআউটের শিকার।
এরপর আফিফ হোসেন ২৯ বলে ১৫ করে রাদারফোর্ডকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন। ২৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩০.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭১ রান।
ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। আলজেরি জোসেফের প্রথম ওভারেই ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। ব্রান্ডন কিং স্লিপে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। শূন্য রানে জীবন পান সৌম্য।
তবে আলজেরি জোসেফের পরের ওভারে পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে শূন্য করেই সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
এক বল পর লিটন দাসও উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন, অনেক বাইরে বলে শট খেলতে গিয়ে এজ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন ২ বলে ০ করে। ৯ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ১৩৬ রানের বড় জুটি গড়েন মিরাজ আর সৌম্য। মিরাজ চলতি সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন। সৌম্যও পান প্রথম ফিফটির দেখা। ০ ও ৪৫ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭৩ করে আউট হন। মিরাজ ফেরেন ৭৭ করে।