জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। তাদের ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যেই বিষণ্নতার উপসর্গ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ‘দৃষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক’ কর্মশালায় এ তথ্য জানান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুনতাসীর মারুফ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৫৫ ব্যক্তির মানসিক অবস্থা নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি একটি জরিপ করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা।
জরিপে দেখা যায়, প্রায় তিন-চতুর্থাংশেরই ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশেরই বিষণ্নতার উপসর্গ রয়েছে। এক-চতুর্থাংশের ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি রোগীর বিষণ্নতা খুবই তীব্র মাত্রার। প্রায় অর্ধেকের বেশি রোগীর মৃদু থেকে খুবই তীব্র মাত্রার উদ্বেগ ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ ৫৮ দশমিক ২ শতাংশের উপসর্গ রয়েছে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবার জন্য পুরুষ রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড এবং মহিলা রোগীদের ১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। এছাড়া সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন অফিস সময়ে অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিশেষ কাউন্সেলিং/ সাইকোথেরাপি সেবার ব্যবস্থা রয়েছে।