মোহাম্মদ রুবেল, কিশোরগঞ্জ:
অষ্টগ্রাম থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক বিডি প্রথম বার্তা অনলাইন পত্রিকাকে জাকির হোসেন বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি আর এল- (২১০৪) এর মাধ্যমে মোঃ জাকির হোসেন (২৮) , পিতা- মোঃ খুরশেদ মিয়া, থানা- অষ্টগ্রাম, জেলা- কিশোরগঞ্জ, এজেন্ট হিসেবে অফিস কর্তৃপক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে তিন জন যাত্রীকে কিরগিজস্তানে পাঠানোর জন্য সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। যাত্রী তিনজনের (নাজুমিয়া-৪৪,হৃদয়মিয়া-২২,রাকিবমিয়া-১৯) জন্য মেডিকেল, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,ওয়ার্ক পারমিট,বিএমইটি রেজিষ্টেশন,ভিসা,ম্যানপাওয়ার,ট্রেনিং ও বিমান টিকিট অফিস কর্তৃপক্ষ মোঃ শহিদুল ইসলামের মাধ্যমে সংগ্রহ করেন। যাত্রীরা চুক্তি অনুযায়ী চার ধাপে তাদের টাকা অফিসে এসে পরিশোধ করেন। এজেন্সি যাত্রীদের জন্য বিমানের গ্রুপ টিকিট কাটে এবং ফ্লাইটের সময় যাত্রীরা ঢাকা আন্তজার্তিক শাহজালাল বিমান বন্দর উপস্থিত ছিলেন প্রবাসের পাড়ি দেওয়ার জন্য কিন্তু গ্রুপ টিকিট কাটার জন্য ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। যাত্রীদের পরদিন ফ্লাইট দেওয়ার কথা বলে কর্তৃপক্ষ। তাদের রাতে ঢাকায় অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ কিন্তু যাত্রীরা রাতে পালিয়ে গ্রামে চলে আসে। আমার (মোঃ জাকির হোসেন) বাড়িতে এসে বলে তাদের টাকা ফেরত দিতে। তাদের জন্য ই-ভিসা করা হয় ৫৯ দিনের । তাদের হাতে পায়ে ধরার পর ও তারা যাবে না। এইদিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এলাকার প্রভাবশালী এবং যাত্রীদের আত্নীয়স্বজনরা প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবারকে চাপে রেখেছে ও আমার বাবাকে হুমকি দিচ্ছে। যাত্রীদের চাপে আমার বাবাস্টক করে। বাবাকে দেখতে যেতে পারছি না তাদের চাপের কারণে। এই জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। জাকির হোসেন আর ও বলেন, সাংবাদিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, সামান্য কিছু টাকা পেয়েছি আমি বাকি সমস্ত টাকা পেয়েছে এজেন্সি। কিন্তু সমস্ত টাকার জন্য তারা আমাকে দোষারোপ করছে। আমি আইনের বাহিরে কিছু করলে যেকোন শাস্তি পেতে রাজি। সরকারি ভাবে বৈধভাবে তাদের সকল কাগজপত্র প্রস্তুত করেছি। আমার পরিবার নিয়ে আমি অনেক সমস্যায় আছি সবার সহযোগিতা কামনা করছি। মোঃ জাকির হোসেন আইনের সাহায্য চেয়ে অষ্টগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। আসামী হিসেবে তিনজনকে অভিযুক্ত করেন। (১) নাজু মিয়া (৪৪), পিতা- সাত্তার মিয়া, সাং- শান্তিপুর, ৯নং ওয়ার্ড, আদমপুর, অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ। (২) হৃদয় মিয়া (২২), পিতা- মহারাজ, সাং-কৌরাইল (বড়বাড়ি) , (৩) রাকিব মিয়া (১৯), পিতা- শফিকুল, সাং- কৌরাইল, অষ্টগ্রাম। এই বিষয়ে জানার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ দেখায় এবং ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার পলাশের সাথে ও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।