1. admin@bdprothombarta.com : admin :
সেতুর কাজ ফেলে ঠিকাদার পলাতক - বিডি প্রথম বার্তা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

সেতুর কাজ ফেলে ঠিকাদার পলাতক

মোহাম্মদ রুবেল, কিশোরগঞ্জ জেলাপ্রতিনিধি
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪
  • ৫৪ বার পঠিত
সেতুর কাজ রেখে ঠিকাদার পলাতক

মোহাম্মদ রুবেল, কিশোরগঞ্জ:

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার শোলাকিয়া গাছ বাজার পার হয়েই রঘুখালী এলাকা। সেখানে নরসন্ধা নদীর উপর একটি পাকা সেতু ছিল। ১০-১২ বছর আগে সেটির কিছু অংশ ভেঙে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে ২০২১ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এখানে নতুন সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়।

কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার মহিনন্দ – বৌলাই ইউনিয়নের সংযোগ রক্ষাকারী নরসুন্ধা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় দুই বছর আগে শুরু হলেও অদ্যাবধি কাজের কোন অগ্রগতি নেই। ৩ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ে সেতুটি দরপত্র হলে এ সেতু নির্মাণের কাজটি পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এইচটিবিএল সার্চের এর জেবেকা ও সাব ঠিকাদার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয় কিশোরগঞ্জের মেসার্স এস আলম নামে একটি ঠিকাদির প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারের গাফিলতি জন্য এ সেতুটি যথাযথ সময়ে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এদিকে সেতুটির নির্মাণ কাজ ঝুলে থাকায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ বৌলাই এবং করিমগঞ্জ উপজেলার হাজারো মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জানা যায়, প্রথমদিকে অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরনো সেতুটি ভেঙে সেতুর দুই পাশে দুটি গার্ডার নির্মাণ করে। এরপর আর এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দেখা মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে তারা সেতু নির্মাণের কাজ করছে না। বর্তমানে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ও বৌলাই ইউনিয়ন এবং করিমগঞ্জ উপজেলার কাদির জঙ্গল সহ ৩টি ইউপি হাজারো মানুষ স্কুল কলেজ হাসপাতাল ও কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণসহ জেলা শহরে যোগাযোগ করতে ব্যবহার করা হতো এই সেতুটি। জনগণের গুরুত্ব অনুধাবন করে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিডি। ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি টাকা। সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৭ মার্চ। সেতুটির নির্মাণ কাজের মেয়াদ কাগজে পত্রে শেষ হয় ২০২২ সালের ২৩ জুন। কিন্তু অদ্যাবধি সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল এবং বিল্লাল বলেন, একজন মানুষ অসুস্থ হলে সেতুর অভাবে তাকে হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনেক সময় পণ্য পরিবহন করতে কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে শহরে যেতে হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত সাব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা এলজিডির প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, সেতু নির্মাণ কাজ না করায় ঠিকাদেরির প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত নতুন দরপত্র আহ্বান করা হবে। সেতুর পাশাপাশি নদীর পাড়ের রাস্তার অবস্থা খুবই বাজে। রাস্তার নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। যেকোন সময় এই রাস্তায় মারাত্নক দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে এলাকাবাসী।

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 BD Prothom Barta
Theme Customized BY LatestNews