বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে অনলাইন গণমাধ্যম বেড়েই চলেছে তার মধ্যে কোনটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আর কোনটি অনলাইন চ্যানেল বুঝে ওঠার উপায় নেই, মাঝেমধ্যে কিছু অনলাইন টেলিভিশনের রিপোর্টার নিজেদের চ্যানেলকে স্যাটেলাইট বলে দাবি করেন। এরই মধ্যে বিপাকে পড়ে যান সাধারণ মানুষ তাই আজ আপনাদের জানাবো বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কয়টি এবং কোন চ্যানেল কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১ নম্বরে রয়েছে - বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৯৭ সালের জুলাই মাসের ১৫ তারিখ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন পায় এটিএন বাংলা, চ্যানেলটি বাংলাদেশে প্রথম চালু করেন, ডঃ মাহফুজুর রহমান। তৎকালীন এটিএন বাংলা টিভি চ্যানেলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, যেটি বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।
এটিএন বাংলা একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। এটির স্টুডিও ঢাকার কাওরান বাজার-এ ওয়াসা ভবনে। চ্যানেলটি সঞ্চারিত হয় দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যে। চ্যানেলের একটি আয়োজন বিস্তৃত খবর, চলচ্চিত্র, নাটক, টক শো সহ সমসাময়িক আরও বিভিন্ন উপলব্ধ। চ্যানেলটির সম্প্রচার শুরু হয় ১৫ জুলাই, ১৯৯৭ সালে। ইউরোপ থেকে সম্প্রচার শুরু করে ২০০১ সালে। চ্যানেলটি ১৬ আগস্ট ২০০১ থেকে সংবাদ সম্প্রচার করা শুরু করে।
২ নম্বরে রয়েছে পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের অক্টোবর মাসের ১ তারিখে বাংলাদেশে আরও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যোগ হয়, বাংলাদেশে দ্বিতীয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলটি হল, চ্যানেল আই।চ্যানেল আই বাংলাদেশের একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক ও বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত টেলিভিশন চ্যানেল। এটি ইমপ্রেস গ্রুপের অধীনে কার্যরত। ঢাকার তেজগাঁও এলাকাতে টিভি চ্যানেলটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। ১৯৯৯ সালের ১ অক্টোবর তারিখে সম্প্রচার শুরু করে এটি।
৩ নম্বরে রয়েছে- বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পায়, ২০০০ সালের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখে বেসরকারি টিভি চ্যানেল হিসেবে সম্প্রচার শুরু করেন। ই টিভি, একুশে টিভি হিসাবে পরিচিতি।একুশে টেলিভিশন (২১ ফেব্রুয়ারি উল্লেখে), অথবা ইটিভি নামে পরিচিত, এস আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিকানাধীন একটি বাংলাদেশী বাংলা ভাষার বেসরকারি স্যাটেলাইট এবং কেবল টেলিভিশন চ্যানেল। এটি ঢাকার কাওরান বাজারে অবস্থিত, এবং এটি সংবাদ এবং বর্তমান ঘটনা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করার বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল।
৪ নম্বরে রয়েছে-২০০৩ সালের জুলাই মাসের ৩ তারিখে উদ্বোধন হয় বাংলাদেশে আরও একটি জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এন টিভি। এনটিভি ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লি. কোম্পানির মালিকানাধীন বাংলাদেশি ও বাংলা ভাষার বেসরকারি একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল। ‘সময়ের সাথে আগামীর পথে’ এই স্লোগানে ২০০৩ সালের ৩ জুলাই এনটিভির সম্প্রচার শুরু হয়। চ্যানেলটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আলী ফালু। খবর ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ফ্যাশন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এনটিভি সম্প্রচার করে থাকে। বাংলাদেশের প্রথম টিভি চ্যানেল হিসেবে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আইএসও সনদ লাভ করে এনটিভি। ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এনটিভি অনলাইনের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৭ সালে এনটিভি অনলাইনকে দেশের সেরা অনলাইন পোর্টাল হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য,কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ একাধিক দেশে এনটিভি সম্প্রচারিত হয়।
৫ নম্বরে রয়েছে- ২৬ শে ডিসেম্বর ২০০৫ সালে উদ্বোধন হয় বাংলাদেশে আরও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আর টিভি।আরটিভি একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল যেটি বাংলাদেশ থেকে সম্প্রচারিত হয়। এটি ২৬ ডিসেম্বর ২০০৫-এ সম্প্রচার শুরু করে। একই মালিক ২০০৩ সালে এনটিভি নামে আরো একটি উপগ্রহ টেলিভিশন চ্যানেল স্থাপিত করেছিল। এটিতে প্রধানত বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। এই টিভি চ্যানেলের প্রধান কার্যালয় কারওয়ান বাজার, ঢাকা।
৬ নম্বরে রয়েছে- ২৭ শে ডিসেম্বর ২০০৫ সালে উদ্বোধন হয় বাংলাদেশে আরও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী টিভি।বৈশাখী টিভি বাংলাদেশের একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক টেলিভিশন স্টেশন। বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত এই চ্যানেলটির স্টুডিও ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত। চ্যানেলটি একটি জাতীয় পরিসরে সেবা দানকারী গণ-মাধ্যম; যেটি সঞ্চারিত হয় পুরো দেশ জুড়ে। বৈশাখী টিভির অফিসিয়াল সম্প্রচার ২৭ ডিসেম্বর ২০০৫ সালে শুরু হয়।
৭ নম্বরে রয়েছে- ২০০৬ সালের মার্চ মাসের ৩১ তারিখে জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে উদ্বোধন করেন, বাংলা ভিশন টিভি।বাংলাভিশন একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলাদেশী টেলিভিশন চ্যানেল। দৃষ্টি জুড়ে দেশ এই শ্লোগান নিয়ে ২০০৬ সালের ৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার শুরু করে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল। চ্যানেলটির চেয়ারম্যান আব্দুল হক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।
৮ নম্বরে রয়েছে- ২০০৯ সালের মার্চ মাসের ২৬ তারিখ বাংলাদেশে আরো একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে যুক্ত হয় দেশ টিভি। দেশ টিভি ২৬ মার্চ ২০০৯ সালে
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে যাত্রা শুরু করে। এটি বাংলাদেশের একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা চ্যানেল।
৯ নম্বরে রয়েছে- ২০১০ সালের এপ্রিল মাস ১৫ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করে মাই টিভি। মাই টিভি একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। এটি ১৫ এপ্রিল ২০১০ থেকে প্রচারিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল। এটি বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন সংবাদ, নাটক, সিনেমা, ধর্মীয়, শিক্ষণীয়, রাজনৈতিক কাথা-বার্তা সহ আরো অনেক অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। এটি ১৫৩ দেশ সহ ইউএস, ইউএসএ, কানাডা, ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রচারিত হয়।
১০ নম্বরে রয়েছে - ২০১০ সালের জুন মাসের ৭ তারিখে ডঃ মাহফুজুর রহমানের দ্বিতীয় চ্যানেল হিসেবে উদ্বোধন হয় এটিএন নিউজ।এটিএন নিউজ বাংলাদেশের একটি ২৪-ঘণ্টা সংবাদমুখী টেলিভিশন চ্যানেল। এটি বাংলাদেশের আরেকটি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। বাংলার ২৪ ঘণ্টা এই স্লোগান নিয়ে চ্যানেলটি তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে ২০১০ সালের ৭ জুন। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ ব্যবহার করে এই চ্যানেলটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
১১ নম্বরে রয়েছে- ২০১০ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে বাংলাদেশে আরও একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল যুক্ত হয় মোহনা টিভি।মোহনা টিভি বাংলাদেশ থেকে সম্প্রচারিত উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল। এর স্টুডিও ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত।
১২ নম্বরে রয়েছে- ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখে বাংলাদেশে আরও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠিত হয় বিজয় টিভি। বিজয় টিভি একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। এর স্টুডিওটি ঢাকার বাংলামোটরে অবস্থিত। চ্যানেলটি ১ই ডিসেম্বর ২০১১ সাল থেকে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা শুরু করে। অফিসিয়াল ট্রান্সমিশন ৩১ মে ২০১৩ থেকে শুরু হয়। এই চ্যানেলটি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এই চ্যানেলের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার এবং প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৩ নম্বরে রয়েছে- বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বর্তমান সময়ে টি আর পি দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে চ্যানেল টি এটি হলো সময় টিভি। সময় টিভি হচ্ছে বাংলা ভাষায় ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচারিত বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এর সদর দপ্তর ঢাকার বাংলামোটরের ৮৯ বীর উত্তম সিআর দত্ত রোডে অবস্থিত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে এই চ্যানেলটির সম্প্রচারের ক্ষেত্রে এনওসি লাইসেন্স রয়েছে। ২০১০ সালের ১০শে অক্টোবর তারিখে একটি পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের পর ২০১১ সালের ১৭ই এপ্রিল তারিখে সময়ের প্রয়োজনে সময় স্লোগান নিয়ে এই চ্যানেলটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ ব্যবহার করে এই চ্যানেলটি তার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
১৪ নম্বরে রয়েছে- ২০১১ সালের জুলাই মাসের ২৭ তারিখ বেসরকারিভাবে অনুমোদন পায় আরো একটি টিভি চ্যানেল যেটি বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ হমানের চ্যানেল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। এটির স্টুডিও ঢাকার তেজগাঁয়ে। এটি একটি সংবাদভিত্তিক চ্যানেল। মার্চ, ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সম্প্রচারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স পায়। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম কোম্পানি বেক্সিমকোর মালিকানাধীন।
১৫ নম্বরে রয়েছে- ২০১১ সালের জুলাই মাসের ৩০ তারিখে বেসরকারিভাবে অনুমোদন পায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশন।মাছরাঙা টিভি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র। ২০১০ সালে এটি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সম্প্রচারের অনুমতি লাভ করে। ২০১১ সালের ৩০ জুলাই থেকে এটি পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে।
১৬ নম্বরে রয়েছে- ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ বেসরকারিভাবে অনুমোদন পায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেল নাইন।চ্যানেল নাইন বাংলাদেশের একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক টেলিভিশন স্টেশন। বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত এই চ্যানেলটির স্টুডিও ঢাকার তেজগায়েঁ আবস্থিত। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ থেকে চ্যানেলটির বার্তা বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এটি শুধু খেলা বিনোদন প্রচার করছে।
১৭ নম্বরে রয়েছে। ২০১২ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে উদ্বোধন হয় আরো টিভি চ্যানেলের বেসরকারি এ টিভি চ্যানেলটি হলো চ্যানেল ২৪।চ্যানেল টুয়েন্টিফোর একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলাদেশের বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। ২০১২ সালের ২৪ মে বৃহস্পতিবার, আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই চ্যানেলটি।
১৮ নম্বরে রয়েছে- ২০১২ সালের জুন মাসের ১২ তারিখে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন গাজী টিভি যাত্রা শুরু করেন।জিটিভি বা গাজী টিভি একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। ২০১২ সালের ১২ জুন,আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই চ্যানেলটি। বাংলাদেশেল রাজধানী ঢাকার সেগুন বাগিচাতে চ্যানেলটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। ২০১৪ সালে চ্যানেলটি ১৫৬ কোটি টাকায় ৬ বছরের জন্য বিসিবির সম্প্রচার সত্ত্ব কিনে নেয়।
১৯ নম্বরে রয়েছে- ২০১২ সালের জুন মাসের ২১ তারিখে যাত্রা শুরু করেন বেসরকারি টেলিভিশন, চ্যানেল ৭১।একাত্তর টিভি বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেল। ২০১২ সালের ২১ জুন এটি পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করে। এটি দেশের সংবাদ ভিক্তিক চ্যানেল যার স্লোগান হল “সংবাদ নয় সংযোগ”। চ্যানেলটির সদরদপ্তর ৫৭, সোহরাওয়ার্দী এভিনিউ বারিধারায় অবস্থিত।
২০ নম্বরে রয়েছে- ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল এশিয়ান টিভি যাত্রা শুরু করেন।এশিয়ান টিভি হলো এশিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। এটি সাধারণ বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে।
২১ নম্বরে রয়েছে- ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ আরো একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন পায় এসএ পরিবহনের মালিকানাধীন টিভি চ্যানেল এসএ টিভি।এসএ টিভি একটি উপগ্রহ-ভিত্তিক বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল। এটির স্টুডিও ঢাকায়। ১৯ জানুয়ারি ২০১৩ সালে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে চ্যানেলটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
২২ নম্বরে রয়েছে- ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় গান বাংলা টিভি।গান বাংলা (GB) ,হচ্ছে বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি ২৪/৭ এইচডি গানের চ্যানেল, চ্যানেলটি প্রথম যাত্রা শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩-এ। গান বাংলা টিভি বাংলা গান সম্প্রচার এবং বাংঙ্গালি সংস্কৃতি তুলে ধরে এবং বিভিন্ন দেশ ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপের কিছু অংশ এবং মধ্য প্রাচ্যে ও এটি সম্প্রচারিত হয়। এটি “ওয়ান মোর জিরো গ্রুপ” এর মালিকানাধীন।
২৩ নম্বরে রয়েছে- বাংলাদেশে অনুমোদিত বেসরকারি টিভি চ্যানেল কয়টি? ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ আরো একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সরকারিভাবে অনুমোদন পায় টিভি চ্যানেলটি হলো যমুনা টেলিভিশন।যমুনা টিভি বাংলাদেশের একটি সংবাদভিত্তিক বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল। ৫ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে চ্যানেলটি পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে আসে। ১৭ই মার্চ ২০১৪ সালে টেলিভিশন চ্যানেলটি দ্বিতীয়বারের মত পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে আসে। যদিও ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সরকারি অনুমোদন পায় যমুনা কর্তৃপক্ষ।
২৪ নম্বরে রয়েছে- ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল প্রচারিত টিভি চ্যানেল দীপ্ত টিভি সরকারিভাবে অনুমোদন পায়।দীপ্ত টিভি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিনোদনমূলক স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল। ১৮ নভেম্বর ২০১৫ থেকে চ্যানেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে এর সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। এর সদরদপ্তর ঢাকার তেজগাঁওে অবস্থিত। চ্যানেলটি এক বছরের মধ্যেই দর্শক জনপ্রিয়তা পায়। দীপ্ত টিভি ২০১৫-র ১৮ নভেম্বর থেকে সুলতান সুলেমান ধারাবাহিকটি বাংলা ভাষায় সম্প্রচার শুরু করে।
২৫ নম্বরে রয়েছে- ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখ নিউজভিত্তিক টিভি চ্যানেল, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সরকারিভাবে অনুমোদন পায় ডিবিসি নিউজ।ডিবিসি নিউজ হচ্ছে বাংলাদেশী উপগ্রহ ভিত্তিক একটি বেসরকারি টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেল। ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে চ্যানেলটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। চ্যানেলটির চেয়ারম্যান হিসেবে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শহীদুল আহসান এবং প্রধান সম্পাদক হিসেবে মঞ্জুরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।
২৬ নম্বরে রয়েছে- ২০১৬ সালের জুলাই মাসের ২৮ তারিখে আরো একটি নিউজভিত্তিক টিভি চ্যানেল অনুমোদন পায় নিউজ ২৪।নিউজ টুয়েন্টি ফোর হলো বাংলাদেশের একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল। এটি যাত্রা শুরু করে ২০১৬ সালে। এর কার্যালয় ঢাকার খিলক্ষেতের বসুন্ধরায় অবস্থিত। এটি ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কোম্পানির একটি চ্যানেল।
২৭ নম্বরে রয়েছে- ২০১৭ সালের মে মাসের ১৯ তারিখে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলা টিভি উদ্বোধন হয়।বাংলা টিভি হল বাংলা ভাষার একটি টিভি চ্যানেল। ১৯৯৮ সালে এটি ইংল্যান্ডে যাত্রা শুরু করে। ১৯ মে ২০১৭ সালে বাংলা টিভি বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচার শুরু করে।
২৮ নম্বরে রয়েছে- ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ শিশুদের বিনোদনমূলক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল উদ্বোধন হয় দুরন্ত টিভি।দুরন্ত টিভি বাংলাদেশের প্রথম শিশু-কিশোরদের অনুষ্ঠানভিত্তিক স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল। ৫ অক্টোবর ২০১৭ সালে চ্যানেলটি পরীক্ষামূলকভাবে সম্প্রচার শুরু করে ও ১৫ অক্টোবর থেকে পূর্ণ সম্প্রচার শুরু করে। ‘দুরন্ত’ টিভির পরিচালক হলেন অভিজিৎ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক শাকিব আরিফিন, অনুষ্ঠান প্রধান মোহাম্মদ আলী হায়দার, বিপণন বিভাগের প্রধান হলেন আমজাদ হোসেন আরজু।
২৯ নম্বরে রয়েছে- ২০১৮ সালের মার্চ মাসের ১ তারিখে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাগরিক টিভি উদ্বোধন হয়।নাগরিক টিভি বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেল। ১ মার্চ ২০১৮ তারিখে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেলটি।
৩০ নম্বরে রয়েছে- ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ বেসরকারিভাবে অনুমোদন পায় স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভি।আনন্দ টিভি বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন সংস্থা। স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ‘আনন্দ টিভি’র (এটিভি) ১১ই মার্চ ২০১৮ হতে সম্প্রচার শুরু করে। রাজধানীর বনানীতে এটিভির নিজস্ব ভবনে চ্যানেলটির উদ্বোধনী করা হয়।
৩১ নম্বরে রয়েছে- ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখ খেলাধুলা বিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাদেশে প্রথম অনুমোদন পায়, টি স্পোর্টস।টি স্পোর্টস বা তিতাস স্পোর্টস হচ্ছে উপগ্রহ ভিত্তিক একটি ক্রীড়া টিভি চ্যানেল। এটি বাংলাদেশের প্রথম ক্রীড়া টিভি চ্যানেল। চ্যানেলটির মালিক বসুন্ধরা গ্রুপ। বাংলাদেশ-নেপালের আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ দিয়ে চ্যানেলটি সরাসরি সম্প্রচার শুরু করে।
৩২ নম্বরে রয়েছে- ২০২১ সালের জুলাই মাসের ৩০ তারিখ আরও একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন পায় সেটি হল নেক্সাস টিভি।নেক্সাস টেলিভিশন এস আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা মালিকানাধীন একটি বাংলাদেশী বাংলা ভাষার স্যাটেলাইট এবং কেবল টেলিভিশন চ্যানেল। এটি ২০২১ সালের ৩০ জুলাইতে সম্প্রচার শুরু করে, এবং এটি বাংলাদেশের প্রথম বাস্তব তথ্যভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল। বাংলাদেশের অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলের বিপরীতে, এটি কোনো নাটক, চলচ্চিত্র, এবং সংবাদ অনুষ্ঠান প্রচারিত করে না।
৩৩ নম্বরে রয়েছে- ২০২২ সালের জুন মাসের ৯ তারিখে আরও একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন হয়, এখন টিভি। এখন বাংলাদেশী বাংলা ভাষার একটি স্যাটেলাইট ও ক্যাবল টেলিভিশন চ্যানেল। চ্যানেলটির মালিক হচ্ছে স্পাইস টেলিভিশন লিমিটেড, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পসংস্থা সিটি গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
৩৪ নম্বরে রয়েছে- বাংলাদেশে অনুমোদিত বেসরকারি টিভি চ্যানেল কয়টি? সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখে স্যাটেলাইট ও কেবল টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে অনুমোদন পায় গ্লোবাল টিভি। গ্লোবাল টেলিভিশন বাংলাদেশের বাংলা ভাষার একটি স্যাটেলাইট ও কেবল টেলিভিশন চ্যানেল। এটির মালিক হচ্ছে গ্লোব মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড, যা গ্লোব ফার্মা গ্রুপের একটি সংস্থা। “বিশ্বময় প্রতিদিন” স্লোগান নিয়ে চ্যানেলটি ২০২২ সালের ৩০ জুন পূর্ণ সম্প্রচার শুরু করে।চ্যানেলটির সদরদপ্তর ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত। চ্যানেলের অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে বিনোদন এবং সংবাদ। চ্যানেলের চেয়ারম্যান হচ্ছে মো. হরুনুর রশিদ,সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হোসেন।
সম্পাদক : মোঃ মুরসালিন তালুকদার বার্তা সম্পাদকঃএম আর জয় (সাংবাদিক) অফিস : ২৪ পুরানা পল্টন, ড.নওয়াব আলী টাওয়ার লিফটের ৫ ইমেইল : bdprothombarta@gmail.com