আর মাত্র এক দিন বাকী পবিত্র ঈদ উল আজহার। কিশোরগঞ্জের তেরোটি উপজেলার সকল গরুর হাটের অবস্থা প্রায় জনশূন্য। গত বছর ও ঈদের একদিন পূর্বে অনেক গুরু বিক্রি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য প্রশাসনের নিকট থেকে এই সব হাট অনুমোদন পেয়ে থাকে। ইজারাদাররা মাঠগুলো নিয়ে থাকে নিলাম ডাকার মাধ্যমে লাভ করার আশায়। কিন্তু এই বছর একটু ব্যতীক্রম। দেশী গরুর আমদানি অনেক তবে মনমতো গ্রাহক পাচ্ছে না বলে গরুর ব্যবসায়ীরা জানায়। এখনও অনেক প্রান্তিক কৃষক গরুটি ভাল দামে বিক্রি করার জন্য ক্রেতার আসার অপেক্ষায় হাটের গরুটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যারা গরুর খামারী ছিল তারা বেশীর ভাগ রাজধানী ঢাকায় চলে গিয়েছে ভাল দাম পাবার আসায়। কিশোরগঞ্জের অন্যতম হাট শোলাকিয়া গরুর হাট। প্রতি সপ্তাহে দুই দিন এই হাটটিতে গরুর বেচাকেনা হয়। সকাল থেকে থেমে থেমে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। একদিকে হাটগুলোতে আজ ক্রেতার দেখা নাই অন্যদিকে সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। একজন প্রান্তিক কৃষক জানায় দুই বছর ধরে তিনটি গরু পালন করেছি কুরবানির হাটে বিক্রে করার জন্য। মাত্র একটি গরু বিক্রি করেছি আর ও দুইটি গরু বিক্রির বাকী আছে। তিনি আর ও জানান এই হাটে বেশী মাঝারি আকৃতির গরু বিক্রি হয়েছে। বড় সাইজের গরু তেমন আসেনি ও বিক্রি ও হয়নি। লোকসানের জন্য দিশেহারা সাধারণ গরুর পাইকার। যারা আগে থেকেই গরু কিনে বিক্রি করার জন্য রেখেছিল।