কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ভোরে (১৫ জুন) আনুমানিক ৪.১৫ মিনিটে বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে আগুন লেগে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। এলাকার স্থানীয় আরজু মিয়ার গ্যারেজ ছিল এটি । গ্যারেজটির দায়িত্বে ছিল রানা মিয়া । রানা ভোরে তার বাসায় ঔষুধ খেতে গিয়ে ছিল বলে জানায় । বাসা থেকে ১০ মিনিট পর এসে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান দেখে চিৎকার করতে থাকে। দ্রুত গতিতে এলাকা বাসী তার আশে পাশের সকল বাসার বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করে দেয়। তাৎক্ষণিক ৯৯৯ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস দেরি করে আসায় গ্যারেজের মধ্যে থাকা চার্জকৃত ৪০ টি ব্যাটারী চালিত গাড়ি পুড়ে ৯০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যায় । এর মধ্যে অটো ছিল ৫টি, অটোরিক্সা ৩০টি ও ভ্যান ৫টি । ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের কথা শুনে ছুটে আসে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুলতান মিয়া, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হাসিনা হায়দার চামেলী, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ,সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ ,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও মিডিয়া কর্মীরা । পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ আলোকিত প্রতিদিনকে জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের যতটুকু সম্ভব অনুদান দেওয়া হবে পাশাপাশি উপস্থিত জনতার কাছে দাঁড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মসিউর রহমান হুমায়ূনকে ফোন করে আগুনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে কিছু অনুদানের ব্যবস্থার কথা বলেন এবং তার নিজের পক্ষ থেকে ও অসহায় মানুষের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বলেন। পুড়ে যাওয়া গাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনাদের জন্য আমার যতটুকু সামর্থ আছে আমি চেষ্টা করব। আপনাদের গাড়ির কাগজপত্র, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ২ কপি ছবিসহ নামের তালিকা করে আমার সাথে অফিসের দেখা করবেন। পুড়ে যাওয়া গাড়ির মালিকদের পাশাপাশি ড্রাইভাররা কিছু অনুদান চায় সকলের কাছে । ড্রাইভার নাহিত বলেন আমরা এখন ঈদের মৌসুমে নতুন কোথাও গাড়ি ভাড়া চালাতে পারবো না । তাই আমরা সরকারী তহবিল থেকে কিছু অনুদান পেলে উপকৃত হতাম। পুড়ে যাওয়া জায়গার ধ্বংস স্তুপ এলাকা বাসীর সহযোগিতায় পরিষ্কার করা হচ্ছে ।