পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রকাশ্য দিবালোকে হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ গৃহবধূ সুমি আক্তার (২০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (৯ জুন) বিকেল ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। তবে এ ঘটনায় দগ্ধ তার ৬ মাস বয়সী সন্তান সুস্থ রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে মুখোশধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত হঠাৎ বাসায় ঢুকে গৃহবধূ সুমির হাত-পা বেঁধে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তার চিৎকার ও গোঙ্গানীর শব্দে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ সুমি আক্তারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে শাশুড়ি পিয়ারা বেগমসহ (৫২) আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পটুয়াখালীর দুমকি সাতানী গ্রামের বাসিন্দা প্রিন্স ও সুমি আক্তার দম্পতি চলতি মাসের ২ জুন শাহজাহান দারোগার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
এ বিষয়ে দুমকি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়েছি, গতকাল অগ্নিদগ্ধ সেই নারী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় নিহতের শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।