কিশোরগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।রবিবার (২৮ মে)রাত ৮ টায় কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার),কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল,কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা:সাইফুল ইসলাম,বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা সংসদ কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো:আসাদউল্লাহ,কিশোরগঞ্জ জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন প্রমুখ। বক্তব্যে বক্তারা বলেন,বাংলাদেশের জন্য তিনি বার বার জেল কেটেছেন।এত অন্যায় অত্যাচার জেল জুলুমের পরেও দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে নি:শর্তে মুক্তি দেন।বঙ্গবন্ধু চাইলে তাদের প্রতি প্রতিশোধ নিতে পারতেন।কিন্তু তিনি তা না করে উদারনীতি দেখিয়ে তাদেরকে মুক্তি দিয়ে ছিলেন।এধরণের অসংখ্য মানবতা ও উদারনীতির কারণে 'জুলিও কুরি' শান্তি পদকে ভূষিত হয়েছিলেন।এছাড়াও এ উপলক্ষে রাত সাড়ে ৯ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করা হয়। পদক প্রদানের বিবেচনায় বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে।আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন,বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন,তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।
সম্পাদক : মোঃ মুরসালিন তালুকদার বার্তা সম্পাদকঃএম আর জয় (সাংবাদিক) অফিস : ২৪ পুরানা পল্টন, ড.নওয়াব আলী টাওয়ার লিফটের ৫ ইমেইল : bdprothombarta@gmail.com