কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে অটো রিকশা চালক মো:শরীফ কে পাথর চাপা দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মূল আসামী সেলিম(৩৯) কে গ্রেফতার করেছে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার গাজীপুর জেলার টংগী পূর্বথানা পাগার এলাকায় ফকির মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘাতক সেলিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সড়কের করিমগঞ্জ -নিকলী সংযোগ সেতুর নিচ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পাথর ও অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে ছিনতাই হওয়া অটোরিক্সাটি ও উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার সেলিম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা কাঠালিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।বুধবার (২৪ মে)সকালে করিমগঞ্জ থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওইসব তথ্য জানান করিমগঞ্জ থানার ওসি শামছুল আলম সিদ্দিকী।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,গত ২১ মে করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের দড়িগাংগাটিয়া নয়াহাটি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মো:শরীফ(২৪) বিকেলে তার অটোরিকশা নিয়ে যাত্রী বহনে বের হয়ে নিখোঁজ হন।আসামীর স্বীকারোক্তি মতে, ওই দিন রাতে পাশবর্তী এলাকা মজলিশপুর বাজার হতে খয়রত মোড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে রওনা হয় চালক শরীফ। এসময় পরিকল্পিত ভাবে, আরও ৩/৪ জন নিয়ে মজলিশপুর বাজার হতে যাত্রীবেশে শরীফের অটোরিকশায় উঠে ঘাতক সেলিম।পথিমধ্যে চালক শরীফকে করিমগঞ্জ -নিকলী সংযোগ সেতুর নিচে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে পাথর চাপা দিয়ে মাথা থেঁতলিয়ে হত্যা করে তার অটো রিকশাটি নিয়ে যায়। পরদিন স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ হত্যার সকল আলামত সংগ্রহ করে নিহতের সুরতহালের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেন।তিনি আরও জানান,বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল রাতভর করিমগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালায়।অভিযানে গাজীপুর জেলার টংগী পূর্ব থানা পাগার এলাকায় ফকির মার্কেট থেকে ঘাতক সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ থানার ওসি শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান,গ্রেফতারকৃত সেলিম পুলিশের কাছে অটোরিকশা চালক শরীফকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাকি আসামীদের দ্রুত সম্ভব ধরতে সক্ষম হবো। বুধবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।