এজাহারনামীয় মূল আসামি ভিকটিমের শাশুড়ি গ্রেফতার।জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশে গঠিত জেলা ডিবি পুলিশ ও ভৈরব থানার সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় এজাহারনামীয় আসামী ১। বেবী আক্তার (৫৫), স্বামী- ফারুক মিয়া, সাং- শম্ভুপুর পুর শান্তিপাড়া, থানা- ভৈরব, জেলা- কিশোরগঞ্জকে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন উত্তর হারুয়া সাকিনের জনৈক সাফি উদ্দিনের বাড়ী হইতে অদ্য ১৭/০৫/২০২৩ খ্রি: সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় গ্রেফতার করেন।
এজাহারনামীয় আসামি ফরহাদ মিয়া (৩৫) এর সহিত গত প্রায় ০৬ বছর পূর্বে ভিকটিম জোনাকী আক্তার (২৩) এর বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ০৩ (তিন) বছরের একজন ছেলে সন্তান আলিফ ছিল। ভিকটিমের স্বামী ফরহাদ মিয়া (৩৫) বিবাহের পূর্ব হতে ইতালি থাকে। বিবাহের পর হতেই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাহাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। এজহারনামীয় আসামি বেবী আক্তার (ভিকটেমের শাশুড়ি) ভিকটিমকে সঠিকভাবে ভরণ-পোষণ দিত না বরং বিভিন্ন সময় ভিকটিমের বিরুদ্ধে তার স্বামীর নিকট নানা আজেবাজে কথা বলাসহ ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
এরই একপর্যায়ে গত ১৪/০৫/২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় এজাহারনামীয় আসামি বেবী আক্তার (ভিকটেমের শাশুড়ি) তার বসত ঘরে ভিকটিমকে বিভিন্ন গালিগালাজসহ মারধর করে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে মরে তাদের রাস্তা পরিষ্কার করে দিতে বলে। শাশুড়ির এহেন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইংরেজি ১৫/০৫/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.০০ ঘটিকা হতে সকাল অনুমান ১০.৪৫ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় ভিকটিম তার ছেলে আলিফ (০৩)কে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ভৈরব থানা পুলিশ ভিকটিম ও তার ছেলের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ০৫ (পাঁচ) জনের নামোল্লেখ করে ভৈরব থানায় অভিযোগ দিলে ভৈরব থানার মামলা নং-৩০, তারিখ-১৭-০৫-২০২৩ খ্রি:, ধারা- 306/34 The Penal Code-1860 রুজু করা হয়।