৭ এপ্রিল রোজ শুক্রবার কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৪৫) নামে এক কৃষক খুন হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি করিমগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কলাতুলী এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। তিনি তার বাড়ির পাশেই মুদির দোকানে ব্যবসা করতেন। প্রতিপক্ষ হামলাকারী জামান ও ফারুক একই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করা হলে খুনে জড়িত জামান ও ফারুককে পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে আসামী পক্ষের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে আসামী পক্ষের পরিবার ও সাক্ষীরা জানায়। আসামী পক্ষের লোকেরা বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে বলে জানায়। বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার বাদী মোছাঃ রাহিমা আক্তার, স্বামী- মোঃ মজিবুর রহমান, সাং- কলাতুলি গলাতুলি, থানা- করিমগঞ্জ, জেলা- কিশোরগঞ্জ। ঘটনা ঘটে ০৭ এপ্রিল ২০২৩ইং রোজ- শুক্রবার, সময় রাত্র আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকা হইতে ৯.০০ ঘটিকা পর্যন্ত। উক্ত মামলায় আসামী করা হয় নজরুল ইসলাম(৪৫) পিতা মৃত. মোতালেব, তাইজুল ইসলাম (৫০) পিতামৃত- মোতালেব, দিলোয়ার হোসেন (৫৫) পিতামৃত- মোতালেব,রেণু মিয়া (৬০) পিতামৃত-মোতালেব, এরশাদ (২৫) পিতা – রেণু মিয়া, এরশাদ (২৫) পিতা- রেণু মিয়া, মুখলেছ (২২) পিতা- রেণু মিয়া ,মুখলেছ (২২) পিতা- রেণু মিয়া, তপু (২৬) পিতা- সিরাজ মিয়া, তাসলিমা(২৬) পিতা- (৪৫) স্বামী- সিরাজ মিয়া, রোকেয়া (৫০) স্বামী- রেণু মিয়া , সাং- কলাতুলি গলাতুলি, থানা- করিমগঞ্জ, জেলা- কিশোরগঞ্জ। এই মামলার আসামীরা মামলার বিবাদীদের গরু, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে জানায়। মামলার সাক্ষীদের বাড়িতেই হামলার অভিযোগ করা হয়। সাক্ষী মজিবুর রহমানের গরুর খামার হতে ৮টি বড় ষাঢ়, যাহার মূল্য ১০ লক্ষ টাকা হইবে এবং ০৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগত টাকা সুকেজে ড্রয়ারে থাকা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা আসামী নজরুল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। মামলায় আর অনেক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা যায়।