কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিষ ক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ধুঁকছে কয়েকশ গবাদিপশু।করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের বড় হাওরে গরুর চরণভূমি।ওই হাওরে আঙ্গুর মিয়া একটি টিনের ঘরে পুরোনো ব্যাটারী ভেঙে সিসা সংগ্রহের এই কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কারখানার আশপাশের উৎপাদিত গো খাদ্য সংগ্রহ ও পানি থেকে থাকতে সর্তকর্তা জারি করা হয়েছে।তবে স্থানীয়দের কাছে আঙ্গুর মিয়া কারখানাটি নিজের নয় বলে দাবি করেন।ভুক্তভোগীরা জানান,উরদিঘী বড় হাওরে প্রতিদিন কয়েকশ গরু চড়ানো হয়।হাওরে রয়েছে একটি বিল।এ বছর উরদিঘী বড় হাওরের মাঝে একটি টিন শেডের ঘর নিমার্ণ করেন আঙ্গুর মিয়া। এক মাস আগে সেখানে ব্যাটারী কারখানা স্থাপন করা হয়। এটির সরকারি কোনো দপ্তরের অনুমোদন নেই।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা পুরনো ব্যাটারী ভেঙে সিসা গলিয়ে পিন্ড তৈরি করা হয়। এতে সৃষ্টি বর্জ্যই মাঠেই ছড়িয়ে ও নির্গত পানি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।গরুর অসুস্থতার খবরে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক পেয়ে বসে।কিশোরগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের জেষ্ঠ কেমিস্ট রুবায়েত সৌরভ বলেন,এই ধরনের কারখানা করতে হলে অবশ্যই ইটিভি ও ওটিভি প্লান্ট থাকতে হবে।কারণ, এর পানি ও আগুনের ধোঁয়া হেভি মেটাল। প্লান্টের মাধ্যমে পরিশোধন না করা হলে মাটি ও বাতাসে সিসার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর প্রভাব শুধু পশুর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের শরীরে ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য মাঠ পযার্য়ে কাজ করছে।অসুস্থ গরু গুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভেটেনারী সার্জন সূত্রে জানা যায়, কারখানাটির আশপাশের এলাকা থেকে গোখাদ্য সংগ্রহে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছেন।করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন,অবৈধ কারখানাটি যারা স্থাপন করেছেন,তদন্ত করে তাঁদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।