কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও পুলিশ হয়রানির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গাইটাল আন্তঃ জেলা বাস টার্মিনালে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহবায়ক হেলাল উদ্দিন মানিক। বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য-সচিব আলমগীর মুরাদ রেজা, অনন্যা পরিবহনের মালিক আনিসুজ্জামান বাবুল, অনন্যা সুপারের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম শহীদ, অনন্যা সুপার সার্ভিসের জাহাঙ্গীর ভূঞা, বিলকিছ বেগম, যাতায়াত প্রাঃ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মোঃ জিল্লুর রহমান, জেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কায়সার আহম্মেদ কাইয়ুম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। উল্লেখ যে, ঈদের পরের দিন বাসমালিকদের দুগ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় ও একটি বাস ভাংচুর করা হয়। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তানভির (২২) নামে একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে হামলার কারণে প্রায় দুই ঘন্টা বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এদিকে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ইদ্রিছ মিয়া বাদী হয়ে অনন্যা সুপারের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলামসহ ৭ জন আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে আহত তানভীরের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য শফিকুল ইসলাম মানিকসহ ৫ জন আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে মধ্যরাতে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। অভিযানে ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি একটি প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। এতে বক্তারা বলেন, রবিবার সকাল ১১টায় গাইটাল বাস টার্মিনালে একটি সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে এবং বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই বাস টার্মিনালের ফল বিক্রেতা পল্টু মিয়ার সাথে অনন্যা সুপারের মালিক রফিকুল ইসলামের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে শফিকুল ইসলাম মানিক বিষয়টি হস্তক্ষেপ করে মিমাংসা করতে চায়। পরে মডেল থানার একটি মামলায় তাকে আসামী করা হয়। এর প্রতিবাদে আজকের এই প্রতিবাদ সমাবেশ। কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য-সচিব আলমগীর মুরাদ রেজা বলেন, বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়া মালিককে হয়রানি করা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাসস্ট্যান্ডে শাহজাহান লস্কর মালিকদেরকে ঠকিয়ে ব্যক্তি নামে প্রাইভেট লিঃ করতে চেয়েছিলেন। এতে মালিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আমরা সকল মালিকদের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেব না। তাই একজন মালিককে হয়রানি না করে অবিলম্বে তার নাম প্রত্যাহার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আমাদের কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করে যারা তাদের জানা উচিত বিগত কমিটির মেয়াদ ছিল মাত্র তিন মাস। তারা ৭ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন উপায় দেখিয়ে বাসস্ট্যান্ডকে লুটপাট করেছে। আমাদের তিন মাস মেয়াদের মধ্যেই নির্বাচন দিতে চাইলে একটি বানোয়াট মামলা দিয়ে নির্বাচনকে স্থগিত করে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় পরিবহন সমিতির পরামর্শক্রমেই কিশোরগঞ্জ মালিক সমিতি পরিচালিত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহবায়ক হেলাল উদ্দিন মানিক বলেন, বাসস্ট্যান্ডে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব। এতে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এর দায় দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।