শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার।
বুধবার দুপুর ২টায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) সাংবাদিকদের সাথে শোলাকিয়া মাঠে উপস্থিত হয়ে মাঠের নিরাপত্তা সংক্রান্তে ব্রিফিং প্রদান করেন৷
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন,ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবার ১৯৬তম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ ঐতিহাসিক এই ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তার ডিউটির বিষয়ে জেলা পুলিশ একদিকে উচ্ছ্বসিত এবং অন্যদিকে যথেষ্ট সতর্ক৷
শোলাকিয়া ঈদের জামায়তকে কেন্দ্র করে পুরো শহর জুরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ জেলা পুলিশের নিকট ঈদ জামায়তকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনরকম নিরাপত্তা থ্রেট নাই৷ এখানে এমন একটা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় প্রস্তুত করা হচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ নি:সংকোচে ঈদগাহ মাঠে আসতে পারে৷
জেলা গোয়েন্দা শাখা, জেলা বিশেষ শাখা পোষাকি পুলিশের সাথে কাজ করবে৷ এখানে এন্টি-টেররিজম ইউনিটের সদস্যগণও এসে নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে৷ এপিবিএন এর পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে৷ তাছাড়া নানা গোয়েন্দা শাখা এই ঈদগাহ জামায়াতের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছেন৷
রমজানের শুরু থেকেই এই এলাকার দিকে বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে৷ সাদা পোষাক এবং পোষাকি পুলিশের সদস্যগণ এলাকায় টহলসহ নানাবিধ তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে৷
২০১৬ সালে একটি অনাকাঙ্খিত জঙ্গী হামলার ঘটনায় এখানে ২ জন পুলিশ সদস্যসহ (কং আনসারুল ও কং জহিরুল) ৩ জন মর্মান্তিকভাবে শহীদ হয়েছিল৷ আত্মহুতি দেওয়া সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি৷ ২০১৬ সালের এই হামলার ঘটনাকে জেলা পুলিশ সর্বদা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রস্তুত ও কাজ করে যাচ্ছে৷
তিনি আরো বলেন,সম্মানিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ ঈদগাহ মাঠে শুধুমাত্র জায়নামাজ সাথে নিয়ে আসবেন৷ যে কোন ধরণের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, দাহ্য পদার্থ, ছাতা, ব্যাগ বা অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ঈদগাহ মাঠে না আসার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে৷
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ঐতিহাসিক এই ঈদগাহ মাঠে নামাজের জন্য সকলে আসবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷
এ সময় জেলার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণও উপস্থিত ছিলেন৷