কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হটলাইন ব্রিগেড এর উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। গত বুধবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের আহবায়ক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর সৌজন্যে ১১ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ৯৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ঈদ উপহার তুলে দেয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের আহবায়ক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম.এ আফজল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ ফরিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা বাছির উদ্দিন রিপন ও জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।
উল্লেখ্য যে, আলোচনা সভায় বক্তাদের মধ্যে সদর উপজেলা সভাপতি আওলাদ হোসেনের বক্তব্যে জেলা শিল্পকলা একাডেমী হল প্রাঙ্গন বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীরা নৌকার কর্মীদের অনেক ক্ষতি করেছে। কাকের মাংস কাকে খাওয়ার মতই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। সৈয়দ আশরাফ ভাই মারা যাবার পর আমরা যারা দীর্ঘ ৩০ বৎসর যাবৎ নৌকার জন্য ত্যাগ করেছি বিভিন্ন মামলা খেয়েছি এবং নির্যাতন সহ্য করেছি এখনও বিএনপি’র আমলের মতই কোনঠাসা হয়ে আছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। বর্তমান কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি আমাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা অর্থাৎ টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করছেন। এতে করে আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মীরা তাদের অনুসারী হত দরিদ্র অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পাচ্ছে না এমনকি যারা নৌকার স্লোগান দিলে আমাদের নেতাকর্মীদের মাথায় বাড়ি দিতেন আজ তারাই নৌকার সুযোগ সুবিধা বহন করছে। এতে করে তৃণমূল পর্যায়ে সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ বড় বিপর্যয়ের মুখে। এ অবস্থা চলমান থাকলে অচিরেই সদরের আসনটি চিরতরে হাত ছাড়া হবে। এখনই যদি প্রতিকার না করেন তাহলে আপনারা জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এই বিষয় নিয়ে নিশ্চিত থাকেন সদরে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হতে বেশিদিন লাগবে না। কারণ বর্তমানে সদর আসনের এমপি আমাদের তৃণমূল আওয়ামী লীগ তথা ১১ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও ৯৯টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কর্মীদের দ্বারা আওয়ামী লীগকে নিষ্পেষিত করছে। এ কথা বলার সাথে সাথে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেগে গিয়ে তার বক্তব্য বন্ধ করতে বলেন। সাথে সাথে উপস্থিত ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা আওলাদ হোসেনের বক্তব্যের সমর্থনে স্লোগান দেয়। বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হলে সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সুরাহা করেন। এতে করে হাউজের মধ্যে স্লোগান উঠে আগামীতে নৌকার প্রার্থী হিসেবে টিটু ভাইকে দেখতে চাই। অন্যদিকে আওলাদ হোসেনের বক্তব্যের উপর সামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।