দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। এবার এ ময়দানে ১৯৬তম পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, সকাল ১০টায় ঈদের জামাত শুরু হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। জামাতে জায়নামাজ ও মাস্ক ছাড়া আর কিছু সঙ্গে না আনতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জামাতের জন্য ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে মাঠে চলছে নামাজের দাগ কাটা,মসজিদে ও দেয়ালে রঙ করা,ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার,ওযু খানা পরিষ্কার,পুকুর ঘাট সংস্কারের কাজ। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য ঈদগাহ ময়দানে নির্মাণ করা হচ্ছে ৬টি ওয়াচ টাওয়ার।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী জানান, নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় রেখে ছাতা, মোবাইল ও কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ঈদগাহ মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। এ ছাড়া পুরো ঈদগাহ ময়দান সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত হবে।
নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য সার্বক্ষণিক ৪টি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে। ঈদগাহ ময়দানের ২৮টি প্রবেশ পথে হ্যান্ডমেটাল ডিটেকটর নিয়ে অবস্থান করবেন নিরাপত্তাকর্মীরা। ঈদগাহে আগত মুসল্লিদের কেবল জায়নামাজ ছাড়া কোনো ধরনের ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান,”ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করতে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এবারো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে। মাঠ ও শহরকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি”।
শোলাকিয়া মাঠের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে নামাজের জন্য মুসল্লিদের সঙ্কেত দেয়া হবে।
জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।