কিশোরগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরিব ,দুস্থ ও হতদরিদ্রদের মাঝে ডিজিএফ ( ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) এর আওতায় ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪১৭ জন হতো দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ৪৫৪৪.১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল পাবেন ঈদের আগে। উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে চাল বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা। এবার ডিজিএফ সহায়তায় নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে জোর দেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ১৩ টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভার গরিব, দুঃস্থ পরিবারগুলো পাবে ডিজিএফ এর চাল। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই খাদ্যশস্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। সরকার প্রতি ঈদে (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা) ডিজিএফ এর আওতায় সারাদেশে হতদরিদ্র দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দিয়ে আসছে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের বরাবরে ঈদের আগেই ডিজিএফ এর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গ্রামের গরীব অসহায় পরিবারগুলো যাতে ঈদে কষ্টে না পড়ে সেজন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান জানান ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডিজিএফ এর আওতায় কিশোরগঞ্জের ১৩ টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভা পর্যায়ে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪১৭ জন হতদরিদ্র দুস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ৪৫৪৪.১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। হতদরিদ্র দুস্থ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে চাল বরাদ্দের চিঠি এসেছে। উপজেলার ১০৮ টি ইউনিয়ন ও ৮টি পৌরসভার মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের আগেই বিতরণ করা হবে বরাদ্দকৃত ডিজিএফ এর চাল। জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন অফিসের তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। পৌরসভার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হবে। পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করবেন। উপজেলা কমিটির মাধ্যমে তার বিতরণ করা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা রয়েছে বিভিন্ন দুর্যোগের শিকার হয়ে খাদ্য সংকটে থাকা লোকজন, দিনমজুর গৃহহারা মানুষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই সহায়তা পাবে। এছাড়া অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবন্ধী লোকজন কেউ সহায়তা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।