কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার গত সোমবার (১৩ মার্চ) জিনারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান খান, পিতা- মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব উদ্দিন (সাবেক চেয়ারম্যান) নিজ কার্যালয়ে বিকাল ৪টায় এক প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৮ মার্চ এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও বিএনপি-জামাত’র অন্যতম সদস্য নজরুল ফকির গং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি আমার সম্পর্কে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য রটিয়ে আমার ও আমার পরিবারের মানহানী করতে চায়। সেই উদ্দেশ্যে কুখ্যাত জামাত-শিবির ও ডাকাতদেরকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এতে আমার ও আমার পরিবারের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাই। এলাকার নিরীহ ব্যক্তি মোঃ আব্দুল বাতেন খাঁর পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে খুন জখম করলে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করার কারণে আমাকে তারা দোষারূপ করছে। বিশেষ করে এলাকার কিছু কুখ্যাত ভূমিদস্যু আবুল কাশেম, পিতা- মৃত রিয়াজ উদ্দিন, সাং- বীর হাজীপুর, হোসেন ডাকাত, পিতা- গিয়াস উদ্দিন, সাং- চর হাজীপুর, বুলবুল, পিতা- আব্দুল জব্বার, সাং- জিনারাই সকলেই জিনারী ইউনিয়নের বিএনপি-জামাত নেতা। সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করায় এবং গত কিছুদিন আগে বিএনপি’র পথযাত্রার নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় এবং তাদেরকে প্রতিহত করাতে আজ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অপরদিকে ভোক্তভোগী মোঃ আব্দুল বাতেন খান, পিতা- মৃত আঃ কদ্দুছ খান, সাং- বীর হাজীপুর একই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৮ মার্চ আমার প্রতিপক্ষ নজরুল ফকির গং অবৈধভাবে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এতে গত ২০১৭ সনে খলিলুর রহমান গং এর বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারী হয়। যার মোঃ নং- ৫২/২০১৭ অন্য প্রকার। এ সময় বিবাদীগণ তাদের তথ্য এবং উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। এর পরে বাদীগণ আদালতের চলমান মামলায় তাদের কাংখিত ফল পাবে না বুঝতে পেরে কিশোরগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১৫৬/২০২২ সন অন্য প্রকার আরেকটি মামলা দায়ের করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দরখাস্তের প্রার্থনা করে। কিন্তু আদালত উক্ত দরখাস্ত নামঞ্জুর করে দেয়। এরপর এলাকার কিছু কুখ্যাত ভূমিদস্যু আবুল কাশেম, পিতা- মৃত রিয়াজ উদ্দিন, সাং- বীর হাজীপুর, হোসেন ডাকাত, পিতা- গিয়াস উদ্দিন, সাং- চর হাজীপুর, বুলবুল, পিতা- আব্দুল জব্বার, সাং- চর হাজীপুর, রতন, পিতা- আঃ গফুর, সাং- বীর হাজীপুর সকলেই জিনারী ইউনিয়নের বিএনপি-জামাত নেতা। তারা সরকার পতনের আন্দোলনে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে চাপ দেয়। আমরা যেতে না চাইলে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয় এবং আমাদেরকে পৈতৃক ভূমি হইতে উচ্ছেদ করে দিবে বলেও হুমকি দেয়। এর কিছুদিন পরই অবৈধভাবে আমার চাচাসহ আমাদের ভাই, বোন সবার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে আমার চাচা গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও স্বাভাবিক জীবন পায়নি। বর্তমানে সে অচল অবস্থায় দিনযাপন করছে। এমন বাস্তব ঘটনাকে আড়াল করতেই কুচক্রী মহলের পরামর্শক্রমে আমার মামলার প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম, বুলবুল ফকির ও লাভলীসহ প্রায় ১৩ জন লোক অবৈধভাবে জোর পূর্বক আমার বাড়ীঘরে হামলা করে। তাদের অত্যাচারে আমরা এখন দিশেহারা। আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় গ্রামের ডাকাত ও উগ্রবাদী বিএনপি নেতাদের নিয়ে বার বার আমার বাড়িতে হামলার বিচার চাই এবং আমার চাচাকে তার জীবনে স্বাভাবিক চলাচলকে অচল করে দেয়া ব্যক্তিদের বিচার চাই। অবৈধভাবে আমাদেরকে হত্যা এবং হুমকি দানকারীদের বিচারের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বিশেষ করে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহযোগিতা কামনা করছি। অন্যথায় হোসেনপুর বিএনপি-জামাত নেতাদের খপ্পরে পড়ে আমাদের ৫টি পরিবারের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আঃ কাদির খাঁ এখন পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছেন।