স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বগাদিয়া তালতলা গ্রামে আসামীপক্ষ মামলা তুলে নিতে মামলার বাদী পক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রাণ বাঁচাতে মামলার বাদী ও তার পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলেগেছে বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার ১৪ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মো: বাবুলের ছেলে মো: রুবেল (৩৫)কে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা সহ ৬জনকে আসামী করে মামলার বাদী মোছা: রোকিয়া খাতুন কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য আসামীরা হলো- মো: রিপন মিয়া (৪৫), কবির (৫০), মামুন মিয়া (৪০) পল্টন (৩৭), সর্ব পিতা আবুসাইদ, সর্বসাং- বগাদিয়া, তালতলা, ৮নং মারিয়া ইউনিয়ন, থানা ও জেলাঃ কিশোরগঞ্জ। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, মামলার বাদী মোছা: রোকিয়া খাতুনের ছোট মেয়ে গৃহবধু ময়না আক্তার পান্নার সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর বাবুলের ছেলে সোহেলের সাথে প্রায় ৩ বছর আগে বিবাহ দেন। বিবাহের পর থেকেই প্রায় সময়ই তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মারধোর করে স্বামী সোহেল। এরই ধারাবাহিতকতায় গত ২৪ জানুয়ারি তার মেয়েকে পূর্বের ন্যায় বেধরম পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তার হাত ভেঙে দেয়। মেয়ের বাবা নজরুল তার প্রতিবাদ করলে স্বামী সোহেলের পরিবার ও তাদের আত্মীয় স্বজন মামলার বাদী মোছা: রোকিয়া খাতুনের পরিবারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে এবং আসামী রিপন তার বড় মেয়ে শাহানার পড়নের কাপর ছিড়ে ফেলে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রোকিয়া খাতুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল নং-১, কিশোরগঞ্জ, আদালতে সোহেল, জুয়েল ও পিতা বাবুলকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। যাহার পিটিশন নং- ১৪/২৩, মামলা নং- ০৮, মামলা রেকর্ড তারিখ ০৬-০২-২০২৩ইং ও পরে ৬জনকে আসামী করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালত-১, কিশোরগঞ্জ এ আরও একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে দায়েরকৃত মামলার আসামী সোহেল ও জুয়েলকে আটক করে। আটকের প্রায় তিন দিন পরেই জুয়েল জামিনে বেরিয়ে এসে এ পর্যন্ত উল্লেখিত আসামীরা বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়া সহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এখন ভুক্তভোগীর পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো: দাউদ বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।