ওমর ফারুক একজন মোবাইল ফাইনান্সিয়াল এজেন্ট ব্যবসায়ী। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তার ভাগ্নে নুরউদ্দিনকে দিয়ে নোয়াখালীতে বিকাশ নগদ রকেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা লেনদেনের কাজ করায়। গত ১২.১২.২০২২ খ্রি. তারিখে একজন কাতার প্রবাসী নিজেকে মোবারক পরিচয় দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ভাগ্নের সাথে যোগাযোগ করে।মোবারক জানান কাতার থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং মানিগ্রামের মাধ্যমে বেশ কিছু টাকা পাঠাবে। পাঠানো টাকাগুলো বিকাশ,নগদ এবং রকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থানরত তার আত্মীয় স্বজনের কিছু মোবাইল নম্বরে পাঠাতে হবে। এর জন্য ভাগ্নে নুরউদ্দিনের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর নেন।
কাতার থেকে যথারিতী মোবারক চার লক্ষ পচিশ হাজার টাকা পাঠিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে জমার স্লিপ দিয়ে দেন। ফোনে অনুরোধ করে তাড়াতাড়ী টাকাগুলো তার আত্মীয় স্বজনদের নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে দিয়ে দিতে বলেন। ব্যাংক –এর সময় শেষ হওয়াতে তখন রিসিটগুলো জমা দিতে পারেনি নুরুউদ্দিন। রিসিটগুলো একজন ব্যাংকারকে দেখালে সঠিক বলে জানায়। সরল বিশ্বাসে নুরুউদ্দিন কাতার প্রবাসী মোবারকের কথায় ব্যাংকে ক্যাশ না করিয়েই সমুদয় টাকা বিকাশ নগদ রকেটে পরিশোধ করিয়ে দেয়।
পরবর্তী দিন ব্যাংকে গিয়ে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এবং মানিগ্রামের রিসিট জমা দিয়ে টাকা ক্যাশ করার সময় জানতে পারে। কাতার থেকে তার একাউন্টে কোন টাকা পাঠানো হয়নি। এবং রিসিট সমুহ সবই ভুয়া। নুরুউদ্দিন বুঝতে পারে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পরবর্তীতে মোবারকের নম্বরে যোগাযোগ করলে তাকে আর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে ওমর ফারুক সিআইডি সাইবার সেন্টারে যোগাযোগ করেন। সাইবার টীম অনুসন্ধান করে এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সনাক্ত করেন। গতকাল সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টীম কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে পাচথুবি এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. রাসেল, পিতা সুরুজ মিয়া, কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রাসেল প্রতারণার কথা স্বীকার করে, তার অপর সহযোগী রিপন সৌদি আরবে অবস্থান করছে বলে জানায়। তার কাছ থেকে প্রতারনায় ব্যবহ্রত ০৪টি মোবাইল ফোন, একটি কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ,তিনাটি সীম এবং নগদ দশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বিরূদ্ধে নিয়মিত মামলায় একদিনে রিমান্ডে সে এখন সিআইডি সাইবারের হেফাজতে রয়েছে।
সম্পাদক : মোঃ মুরসালিন তালুকদার বার্তা সম্পাদকঃএম আর জয় (সাংবাদিক) অফিস : ২৪ পুরানা পল্টন, ড.নওয়াব আলী টাওয়ার লিফটের ৫ ইমেইল : bdprothombarta@gmail.com