বিদ্যুতের খুঁটি রেখে চলছে সড়ক প্রশস্ত করার কাজ কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কের মাঝখানে থাকা ২৮ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ ।
,কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করার কাজ চলছে বিদ্যুতের খুঁটি মাঝখানে রেখেই। খুঁটি সরানো নিয়ে সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। একরামপুর থেকে সতাল জেলা পরিষদ পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার সড়কের মাঝখানে রয়েছে প্রায় ২৮ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বলছে, বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি সরানোর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। আর বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কিছু করতে পারছে না। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর -অক্টোবরে শুরু হওয়া এই আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণকাজ ২০২২ এ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারনে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হবে বলে জানায় সওজ।কাজ শেষ হলে যানবাহনের জ্বালানি খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি যাতায়াতকারীদের সময় বাঁচবে। কিন্তু দুই পক্ষের রশি টানাটানিতে নির্ধারিত সময় কাজ শেষ হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। রাস্তার মাঝখানে খুঁটি থাকায় ঠিকমতো রোলার দিয়ে মাটি ভরাট করতে পারছেন না শ্রমিকরা। এতে করে খুঁটির গোড়ায় ও তার আশপাশে মাটি ঠিকমতো না বসায় পরবর্তীতে মাটি বসে গর্ত হতে পারে বলে মনে করেন তারা। এসব খুঁটির কারণে দুর্ঘটনা বাড়বে।সড়কের খুঁটি সরাতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সড়ক ও জনপথ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ বলে এলাকাবাসী ও যান চালকরা জানিয়েছেন।স্থানীয় আবু নাসির বাইতুল বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা শহর হয়ে এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সড়কে যদি খুঁটি রেখে কাজ করে তাহলে এ সড়ক দিয়ে যানচলাচল করবে কীভাবে? খুঁটি অপসারণ না করে সড়ক বড় করলেও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাবে।’ দ্রুত খুঁটি অপসারণ করার দাবি জানান তিনি।এ সড়ক ব্যাবহারকারী অপর একজন ইনসান বলেন,দুর্ভোগ কমাতে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। কিন্তু বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়কের কাজ করা হচ্ছে। সড়কের মাঝে যদি খুঁটি থাকে তাহলে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।তিনি আরো বলেন, ‘খুঁটি রেখে সড়কের কাজ করা হচ্ছে এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। খুটি রেখে কীভাবে সড়কের কাজ করা হয় তা আমার বুঝে আসে না। আসলে কি সড়কের উন্নয়ন হচ্ছে নাকি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মশকরা করা হচ্ছে বুঝে উঠতে পারছি না।২৭ কিলোমিটারের এই সড়ক ১৮ ফুট থেকে ৩২ ফুট প্রশস্ত করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নির্মাণকাজের দুই বছর পেরিয়েছে। কিশোরগঞ্জ সওজের সহকারি প্রকৌশলী (অ:দা:) মো.রাকিবুল হাসান বলেন, চিঠি দেওয়া হলেও বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি সরিয়ে নিচ্ছে না।খুটি সরানোর জন্য পিডিবি ৪০-৪২ লক্ষ টাকা খরচ চাচ্ছে।খুটি না সরানোয় কাজের গতি কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সালাহ উদ্দিন বলেন, খুঁটি সারানোর জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।সড়ক বিভাগ আমাদের টাকা দিচ্ছে না।তাই আমরা কোন কাজ করতে পারছি না।টাকা পেলেই কাজ করে দিতে পারবো।একরামপুর থেকে ২৮ টি খুটি রয়েছে রাস্তার মধ্যে।এ খুটি গুলি সরাতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিল চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।