প্রতিবছরই আগাম বন্যায় জমির ফসল সঠিক সময়ে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।তাই এবার কিশোরগঞ্জের হাওরে আগাম বন্যার পানি থেকে বোরো ধান রক্ষায় নতুন করে ১৭৪ কি.মি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলার ইটনা, মিঠামইন,অষ্টগ্রামসহ ৯ টি উপজেলায় এসব বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। আগের বাঁধগুলো সংস্কারের পাশাপাশি নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে হাওরের কৃষক পরিবারগুলো।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক হাওর অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রন ও ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ /মেরামত কাজ বাস্তবায়নের জন্য চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কাবিটা নীতিমালা – ২০১৭ মোতাবেক বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।জেলার ৯ টি উপজেলায় ১৪৭ টি পিআইসির মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৭৪ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৬০ ভাগ।এলাকার লোকজন বাঁধ নির্মাণ কাজের মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং চলতি বছরের আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষায় পিআইসি কর্তৃক নির্মিত বাঁধসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশাব্যাক্ত করেন।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্মিত বাঁধের কারণে তাদের চলতি বছরের বোরো ফসল নির্বিঘ্নে ঘরে তোলার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন হাওরের কৃষকেরা।কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধ নির্মাণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাধঁগুলো নির্মাণে তদারকি সহ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মতিউর রহমান জানান,জেলার ৯ টি উপজেলার এসব বাঁধের কাজ হবে ১৪৭ টি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে।গত বছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হওয়ায় হাওরের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে এবার পিআইসির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।নির্ধারিত সময়ের আগেই বাকি কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-অষ্টগ্রাম-মিঠামইন) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক জানান,আগাম বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় আগের বাঁধগুলো মেরামতের পাশাপাশি ১৭৪ কি.মি. নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।ফসল রক্ষায় হাওরের চারপাশে বেষ্টনী গড়ে তোলা হচ্ছে।কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।তাই আশা করছি, আগাম বন্যা হলেও জমিতে পানি ওঠার আগেই কৃষক তার ধান কেটে গোলায় তুলতে পারবে।