1. admin@bdprothombarta.com : admin :
ভ্রমণ মানুষকে সামাজিক ও প্রকৃতি-বান্ধব করে তুলে - বিডি প্রথম বার্তা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

ভ্রমণ মানুষকে সামাজিক ও প্রকৃতি-বান্ধব করে তুলে

মোহাম্মদ রুবেল, স্টাপ রিপোটার
  • প্রকাশিত : শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১৭৮ বার পঠিত

ভ্রমণের মাধ্যমে একজন মানুষ এমন একটা পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়, যখন অন্য মানুষেরা তার সঙ্গী-সহচর হতে পছন্দ করে । পরিবার ও সমাজে তার কার্যকর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। ভ্রমণ মানুষকে সামাজিক ও প্রকৃতি-বান্ধব করে তুলে। পৃথিবীর অনিন্দ্য সুন্দর রূপ ও রসে ভরপুর হয় ভ্রমণকারীর জীবন আর অনুভূতি। রমণ হচ্ছে লোকজনের তুলনামুলকভাবে দূরতম ভৌগোলিক স্থানের মধ্যে গতিবিধি বা চলন, এবং মানুষজন সাধারণত পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, গাড়িতে, ট্রেনে, নৌকায় কিংবা প্লেনে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণকালে সাথে ব্যাগ বা লাগেজ থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে এবং ভ্রমণটা একমুখী কিংবা রাউন্ড ট্রীপও হতে পারে। ধারাবাহিক গতিবিধির মাঝে একটুখানি অবকাশ যাপনও ভ্রমণের অংশ হয়ে থাকে।ভ্রমণ ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, ধর্মিয় ইত্যাদি স্থানে হয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রিদের জন্যে প্রথম দুটি লিখিত জায়গা উচ্চ শিক্ষায় নিশ্চয় দরকার। মনের শান্তি, শুদ্ধতা, প্রেরণা প্রভৃতির জন্যে ধর্মিয় স্থান। ভ্রমণ” শব্দটার উৎস ইতিহাসের কালে প্রায় হারিয়েই গেছে। ভ্রমণ বা ট্রাভেল শব্দটার উৎপত্তি হয়েছে আদি ফরাসি শব্দ travail থেকে। মেরিয়াম ওয়েবস্টার ডিকশনারি অনুসারে যতদূর জানা যায় ভ্রমণ শব্দটার ব্যবহার শুরু হয় চতুর্দশ শতাব্দীর দিকে। সেখানে এটাও বলা আছে যে ভ্রমণ শব্দটা প্রথমে আদি ফরাসি শব্দ travailler (যার মানে পরিশ্রমের সাথে কাজ করা) হয়ে পরবর্তীতে ইংরেজি শব্দ travailen, travelen (যার মানে যন্তণা, শ্রম, সংগ্রাম, ভ্রমণ) এর মধ্য দিয়ে উৎপত্তি লাভ করেছে। ইংরেজিতে এখনও মাঝেমাঝে travail এবং travails শব্দদুটো ব্যবহার করা হয়, যার মানে সংগ্রাম। Simon Winchester তার বই The Best Travelers’ Tales (2004) এ উল্লেখ করেছেন, travail এবং travel দুটো শব্দই আমাদের সামনে আরও প্রাচীন একটা ব্যাপার তুলে ধরে যেটা হলো tripalium( ল্যটিন ভাষায় যার মানে “৩ টি পুরস্কার”) নামক প্রাচীন রোমানদের ব্যবহৃত টর্চার করার যন্ত্র। এটাতে আসলে প্রতিফলিত হয় প্রাচীনকালে ভ্রমণে অনেক কষ্ট এবং প্রতিকূলতা ছিলো, সাথে travailler শব্দটার কষ্টকর জ্ঞাত্যার্থও প্রকাশ করে। বর্তমানকালে ভ্রমণ করাটা খুব সহজ হতে পারে আবার নাও হতে পারে, সেটা নির্ভর করতেছে তোমার গন্তব্যস্থলের উপর (যেমন, মাউণ্ট এভারেস্ট, আমাজন রেইনফরেস্ট) এবং কিভাবে তুমি পরিকল্পনা করছো সেখানে যাওয়ার (বাস,ট্রেন,জাহাজ ইত্যাদি) সেটার উপর। ভ্রমণলেখক Michael Kasum লিখেছেন, “স্বাভাবিক ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণকারী আর সত্যিকারের পুরো পৃথিবী চষে বেড়ানো ট্রাভেলার বা ভ্রমণকারীর মধ্যে একটা বড়সড় পার্থক্য আছে।” তথাপি ভ্রমণের সামাজিক এবং সংস্কৃতিগত পার্থক্য এবং বৈশিষ্ট্য যুক্তিপূর্ণভাবে একাডেমিক কাজ হিসেবে নোট করা হলো।.

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 BD Prothom Barta
Theme Customized BY LatestNews