বাংলাদেশের কক্সবাজারের প্রচণ্ড গরমে রুমা খালি পায়ে দক্ষতার সঙ্গে মাঠজুড়ে ছোটাছুটি করে। মাঠটি ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়। তবে এটি একটি প্রকৃত ফুটবল মাঠের আকারের অর্ধেক এবং গোলপোস্টগুলোও তেমনই। মেয়েদের কাউকেই অবশ্য গরম, তাদের খালি পা বা মাঠের আকার নিয়ে চিন্তিত বলে মনে হয় না! তারা দারুণ সময় কাটাচ্ছে।
রুমা অনায়াসেই একটি গোল করে। তার দলের খেলোয়াড়রা ভীষণ উল্লাসে মেতে ওঠে, আর অন্য দল থেকে আসে প্রতিবাদ। “এটা অফসাইড,” বলে দাবি করে প্রতিপক্ষ দলের অঘোষিত অধিনায়ক শামসুনা। গোলটি বাতিল হয় এবং খেলা চলতে থাকে। কিন্তু রুমা বিরক্ত হয় না। “আমি আরেকটি গোল করব,” বলে সে হাসে এবং চলে যায়। নিজের কথা ঠিক রেখে শেষ বাঁশি বাজার আগে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দেওয়া দুই গোলের জবাবে সে তিন গোল দেয় এবং দিনটি নিজের করে নেয় তার দল। সে এবং তার দল প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের বিজয়ী।