এলএল.বি পড়াশুনা করার জন্য চার ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে বাংলাদেশে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণত এইচ এস সি পাস করার পর যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের অনার্স কোর্স সম্পন্ন করতে হয় কিন্তু একমাত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছরের পাস চালু রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অনার্স অথবা ডিগ্রী পাস কিন্তু অনেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে ও এলএল.বি তে ভর্তি হচ্ছে। কেউ বা মাস্টার্স সম্পন্ন করে সরকারী চাকুরীর জন্য অপেক্ষা করে ৩০ বছর পার করে নতুন করে এলএল.বি করার স্বপ্ন দেখছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স ৪ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাস কোর্স ২ বছরের সময় দিয়ে চার বছর লেগে যাচ্ছে। ১ম বর্ষে ৩টি ব্যাচ থাকে এবং ২য় বর্ষে ২টি ব্যাচ থাকে। তবে শোনা যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ বছরের পাস কোর্স বন্ধ করে ৪ বছরের অনার্স কোর্স চালু করবে। কখন বা কত দিন পর থেকে অনার্স কোর্স চালু হবে সঠিক সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত মিডিয়ায় আসেনি। একজন ছাত্র বা ছাত্রী ৩০ বছর জীবন পাড়ি দিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখে এলএল.বি করে সে আইনজীবী হবে তাহলে তাকে ৪ থেকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে এলএল.বি সম্পন্ন করার জন্য । তারপর আবার তিন ধাপে পরীক্ষা দিয়ে বার কাউন্সিলের সদস্য হতে হবে। যতদিন পর্যন্ত না হওয়া যায় আইনজীবী ততদিন পর্যন্ত শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে জীবন যাপন করতে হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট অসংখ্য শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা যেন সেশন জোট নামক ভাইরাস দূর করা হয় প্রতিটি কোর্স থেকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি চায় তাহলে অবশ্যই এই সমস্যার সমাধান করতে পারে বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করেন।