কে হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের পরবর্তী কান্ডারি?সর্বত্রই আলোচনা হচ্ছে এ নিয়ে।চায়ের কাপ থেকে পাড়া মহল্লা সব জায়গায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন পরবর্তী জেলা যুবলীগের কমিটি নিয়ে।ইতিমধ্যেই কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদ পাওয়ার জন্য প্রায় ডজন খানেক নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। পদ প্রত্যাশীরা প্রায় সবাই রাজনীতির মাঠে সরব রয়েছেন। সভাপতি-সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকাও দীর্ঘ। আলোচনায় আছেন প্রায় ডজন খানেক নেতার নাম। যারা ইতিমধ্যে পদ প্রত্যাশায় নিজেদের জীবন বৃত্তান্ত কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিয়েছেন। যাদের বেশির ভাগই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। জনমনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কে হচ্ছেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সম্পাদক।
দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি যুবলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে যুবলীগের প্রধান কার্যলয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও সর্বশেষ শিক্ষা সনদের ফটোকপিসহ জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়।
এর আগে গত ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।তাতেও ঐসময় জেলা যুবলীগের সম্মেলনের কোন সিদ্ধান্ত আসে নি।
এদিকে দীর্ঘদিন পর নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। সভাপতি-সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন ডজন খানেক নেতা।সভাপতি পদে জোর আলোচনায় আছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক,গুরুদয়াল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস,বর্তমান জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য বাছির উদ্দিন রিপন,এছাড়াও বর্তমান জেলা যুবলীগ কমিটির ২ জন যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম মীর সোহেল ও রুহুল আমিন খান সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন।এছাড়াও সভাপতি পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা লেলিন রায়হান শুভ্র শাহীন সহ অনেকেই।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় আছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ১ নং সদস্য,গুরুদয়াল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের সাবেক খেলাধুলা সম্পাদক রাশেদ জাহাংগীর পল্লব।এছাড়াও জোর আলোচনায় আছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম হুমায়ুন,এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সৈয়দ আফাকুল ইসলাম নাটু,সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুর রহমান মাহফুজ,সাবেক ছাত্রনেতা মল্লিক রাজন,সাবেক ছাত্রনেতা সামিউল হাসান চৌধুরি লিমন,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিমন ঢালী সহ অনেকেই।
জানা যায়,সর্বশেষ ২০১২ সালের জুলাই মাসের ৩ তারিখ আমিনুল ইসলাম বকুলকে আহবায়ক,মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল ও রুহুল আমিন খানকে যুগ্ন আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয় কেন্দ্রীয় যুবলীগের তৎকালীন
চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
৯০ দিনের আহবায়ক কমিটি পরবর্তীতে প্রায় সাড়ে ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোন জেলা যুবলীগের কমিটি হয় নি।
একই অবস্থা উপজেলা যুবলীগের কমিটিগুলোতেও ।প্রায় সবগুলো উপজেলাতেই দীর্ঘদিন যাবত নতুন কমিটি নেই।যার ফলে ঝিমিয়ে পড়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম।
রানিং কমিটির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পেয়েছেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে জেলা যুবলীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় যুবলীগের রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় হয় জেলার অনেক নেতৃবৃন্দ।পরে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশনায় যুবলীগ কিছুটা গতি পায়। পদ প্রত্যাশার আশায় বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে জাতীয় ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডগুলি পালন করছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী বাছির উদ্দিন রিপন বলেন,যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংগঠনের আলাদা ইমেজ তৈরি হয়েছে। আমি সেই ইমেজ কাজে লাগাতে চাই। সারাদেশে যুবলীগকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চান পরশ ভাই। মানবিক যুবলীগের যে কার্যক্রম চলছে, তাতে আমি শরিক হতে চাই।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী রাশেদ জাহাংগীর পল্লব বলেন,দুঃসময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কাজ করেছি।আমরা চাই যুবলীগকে একটি সুন্দর ও শক্তিশালী যুব সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে। চাঁদাবাজ, মাদক, টেন্ডারবাজমুক্ত একটি কমিটি চাই।