পলিথিন আর ভাঙাচোরা কিছু টিনে জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া, মরিচাধরা টিনের চালায় পলিথিনের চাউনি। জীর্ণ শীর্ণ এ ঘরে বৃদ্ধ অসুস্থ মা, প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে বসবাস গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়ার। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চংশোলাকিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়ার পৈতৃক ১ শতক ভিটেবাড়ী ছাড়া নেই কোনো সম্বল। তার বৃদ্ধ মা কাজল বানু (৬৫), প্রতিবন্ধী স্ত্রী সাদেকা বেগম (৪০) ও ৪ ছেলেমেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। কনকনে শীতে গরম কাপড় বিহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ পরিবার টির। বৃষ্টি এলেই বাড়ে দুর্ভোগ, টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর। কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টি হলেই অসহায় দম্পতি পরিবারসহ ছুটে যান অন্যের ঘরে।
গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়া আগে গ্রামীণ এম্বুলেন্স চালাতেন। ২০১৭ সালে গ্রাম পুলিশে নিয়োগ পান। ইতিমধ্যে তিনি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রাম পুলিশ হিসেবে অবদান রাখায় পেয়েছেন পুরষ্কার।
গ্রাম পুলিশ বাদশা মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, একটি ঘরের জন্য বিভিন্ন সময় দ্বারে দ্বারে ঘুরে কাগজ পত্র জমা দিয়েও ঘর পান নি তিনি।তার দাদা এবং বাবা ও আওয়ামীলীগ করতেন, তিনিও মহিনন্দ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি স্বল্প বেতনে গ্রাম পুলিশের চাকরি করে বৃদ্ধ মা, প্রতিবন্ধী স্ত্রী ও ৪ ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তার থাকার ঘরটি ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ায় পুরো পরিবার নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মহিনন্দ ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী জানান, আমি বিষয়টি অবগত আছি। বাদশা মিয়াকে বলেছি ঘরের জন্য আবেদন করতে। উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করলে আমি জোর সুপারিশ করবো যেন বাদশা মিয়া একটি ঘর পায়।