কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন।শুধু একটি নাম নয়,একটি ইতিহাস ও বটে।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যখন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়,তখন নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে নেত্রীকে রক্ষা করে ছিলেন।নেত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বস্থ সহচর হিসেবে ইতিমধ্যেই অধিষ্ঠিত হয়েছেন।নেত্রীর প্রতিটি কাজে হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে কাজ করছেন।পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সার্বিক দ্বায়িত্ব পালন করেন তিনি।যে পদ্মা সেতু বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে।মসিউর রহমান হুমায়ুন ছাত্রনেতা থেকে হয়েছেন জননেতা।বর্তমানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারির দ্বায়িত্ব পালন করছেন।কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের ও সদস্য তিনি।
রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা এক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ কৃষিবিদ হুমায়ুন।বাবা মেসবাহ উদ্দীন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে একাধিকবার দায়িত্ব পালনকারী সভাপতি। এমন সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ূন ও বাবার দেখানো পথে, মুজিবাদর্শ ধারণ করে আওয়ামীপন্থী ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে পড়াকালীন সময়ে হয়ে উঠেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের বিপুল জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক।পাশাপাশি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক।
২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যখন গ্রেনেড হামলা করা হয়,তখন তিনি গুরুতর আহত হন।পরবর্তীতে মাইনাস টু ফর্মূলা খ্যাত ১/১১ এর সময়ে তিনি নেত্রী কারারুদ্ধ হলে তার মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক মনোনীত হন।এখানেও তিনি তার যোগ্যতা প্রমাণে সমর্থ্য হন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে দলের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে তার নাম প্রকাশিত হয়।
যদিও অসুস্থ অবস্থায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্বাচন করতে সমর্থ হন,কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাকেও নিরাশ করেননি।তাকে প্রধানমন্ত্রী’র বিশেষ সহকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়োগ দেন।
কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর বাসীর জন্য নিজের সবটুকু দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।তিনি সদর-হোসেনপুরের বিভিন্ন অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে নানা ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করে করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।বিশেষ করে ২ উপজেলার নিরাময় এবং অনিরাময়যোগ্য রোগীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য সহযোগীতা করে পাশে থাকছেন।প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের চেক তিনি নিজেই উপকারভোগীদের বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসেন।যার ফলে অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হচ্ছেন।অল্প কয়েকদিন আগে হোসেনপুর উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের আছিয়া বেগম ও তার স্বামী খেলু ফকির জরাজীর্ণ ঘরে অসহায় অবস্থায় দিনানিপাত করছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হলে কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বিস্তারিত খোজ খবর নিয়ে অসহায় এ পরিবার টির থাকার জন্য পাকা ঘর করে দেয়ার দ্বায়িত্ব নেন।সেই আছিয়া -খেলু ফকির দম্পতির পাকা ঘর নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
তাই তাকে ঘিরেই কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর বাসী উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার আগেই কিশোরগঞ্জ -১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের মুখে মুখে প্রচার হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন এর নাম।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তার রয়েছে নিবিড় যোগাযোগ।চষে বেড়াচ্ছেন সদর উপজেলা এবং হোসেনপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম,প্রতিটি ইউনিয়ন।দলীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে উজ্জীবিত করছেন নেতাকর্মীদের।ইতিমধ্যেই তার একটি বিশাল বলয় তৈরি হয়েছে।যার ফলে আগামী নির্বাচনে তাকে বেশ শক্ত প্রার্থী হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।এছাড়াও তিনি অসংখ্য স্কুল,কলেজ সহ নানা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। তার কর্মী-সমর্থকরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে তাকে প্রার্থী হিসাবে চান।আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুনকে নিয়ে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ুন বলেন,জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সোনার বাংলা গড়তে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হবেন বলেও জানান তিনি।