মাদক কারবারি ও মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কোনো আপোষ নয় বলে মন্তব্য করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সামসুর রহমান।
কিশোরগঞ্জ জেলায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও মাদক উদ্ধারে ব্যাপক কাজ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সামসুর রহমান যোগদানের পর থেকেই ডিবি পুলিশের কার্যক্রমে গতি বেড়েছে।
জানা যায়, গত আগস্ট মাসের ৭ তারিখ তিনি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা পালন ও বিভিন্ন মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।
যোগদানের ২ মাস ২৩ দিনের মধ্যে ৭০ এর অধিক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গাজা ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ৫১টি মামলায় তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
গত ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার উকিলপাড়ায় অনার্স পড়ুয়া রাহাতকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করে তারই আপন চাচাতো ভাই জুবায়ের। হত্যা করে জুবায়ের পালিয়ে প্রথমে যায় ঢাকা, তারপর নোয়াখালি।
পরে খুলনা ও পরে নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি যায়। এ ঘটনার ৬ দিনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীর সর্বশেষ অবস্থান নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি থেকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গ্রেপ্তার করে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইন চার্জ সামসুর রহমান জানান,জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার মহোদয় এর নির্দেশনায় কিশোরগঞ্জ জেলাকে মাদকমুক্ত করতে কাজ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও জনস্বার্থে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুসারে সেবা দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সমস্যা-সংকটে ডিবি পুলিশ ভরসার জায়গা হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।